কাজের দিন নষ্ট নয় , সরকারি কর্মীদের কর্মবিরতি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ রাজ্যের

রাজ্যকে পরিচালনা করতে রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের কথা ভেবে সরকারি কাজে প্রচুর লোককে নিয়োগ করা হয়। এখন তাঁরা যদি দায়িত্ব পালন না করেন, তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই সরকার সঠিক পরিষেবা রাজ্যের মানুষকে দিতে পারবে না।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রতিমুহূর্তে কর্মসংস্থানের দিকে লক্ষ্য দিচ্ছেন। সরকারি কর্মচারীদের (Government Employees) কথা মাথায় রেখে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার (DA) ঘোষণা করা হয়েছে। এসবের পরেও ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের একাধিক সংগঠনের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ যেভাবে একের পর এক কাজের দিন নষ্ট করে ধরনায় বসছেন , এবার তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে রাজ্য (Government of West Bengal)। রাজ্য অর্থ দফতরের (State Finance Department) তরফ থেকে শনিবার এক নির্দেশিকা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, আগামী ২০ ও ২১  ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ সোমবার এবং মঙ্গলবার সরকারি কর্মচারীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। যাঁরা ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটিতে রয়েছেন তাদেরকেও আগামী সোমবার কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য কর্মসংস্কৃতিতে একের পর এক রেকর্ড তৈরি করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে যেভাবে সরকারি কর্মীরা অন্যের উস্কানি এবং প্ররোচনায় কাজের পরিবর্তে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন সেটা কখনোই সমর্থনযোগ্য হতে পারেনা বলেই স্পষ্ট মত নবান্নের (Nabanna)। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছেন তিনি আন্দোলনকে সমর্থন করেন কিন্তু বনধ বা ধর্মঘট করে কিংবা কর্মবিরতির ঘোষণা করে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলা তিনি কোনওভাবেই মেনে নেবেন না। রাজ্যকে পরিচালনা করতে রাজ্যের মানুষের উন্নয়নের কথা ভেবে সরকারি কাজে প্রচুর লোককে নিয়োগ করা হয়। এখন তাঁরা যদি দায়িত্ব পালন না করেন, তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই সরকার সঠিক পরিষেবা রাজ্যের মানুষকে দিতে পারবে না। এই কথা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করা সত্ত্বেও, নিজেদের অবস্থান থেকে একটু সরতে চাইছেন না আন্দোলনকারীরা। অগত্যা কড়া পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে আগামী সোমবার এবং মঙ্গলবার কোনও ক্যাজুয়াল লিভ বা কোনও ধরনের ছুটি দেওয়া হবে না। অর্ধ দিবস বা হাফ ছুটিও দেওয়া হবে না। এক্ষেত্রে দু’ দিন যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন বা দু’ দিনের মধ্যে যে কোনও একদিন যাঁরা অনুপস্থিত থাকবেন, তাঁদের “সার্ভিস ব্রেক” হবে। এখানেই শেষ নয় রাজ্য অর্থ দফতর স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, নির্দেশিকা না মানলে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের শোকজ করা হবে। সেই শোকজের উত্তর যথাযথ না হলে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।

 

Previous articleকেরলকে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত, বাগান কোচের এবার লক্ষ্য ডার্বি
Next articleঘরের মাঠে স্বপ্নভঙ্গ বাংলার, রঞ্জি ট্রফি চ‍্যাম্পিয়ন সৌরাষ্ট্র