সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল রবিবার দুপুরে। তৃণমূলের তরফ থেকেই সে কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু বেলা গড়িয়ে বিকেলে সাগরদিঘি (Sagardighi) পৌঁছলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। কেন এই দেরি? মঞ্চে উঠেই সে কথা জানালেন অভিষেক। তিনি বলেন, কলকাতা থেকে রওনা দেওয়ার সময়ই হেলিকপ্টারে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। তিনি অনুরোধ করেন, তাড়াতাড়ি ত্রুটি সারিয়ে হেলিকপ্টার সচল করার। কিন্তু তাঁকে জানানো হয় স্বভাব বাতিল করতে হতে পারে কারণ বড়সড়ই চটি দেখা দিয়েছে। কিন্তু সভা বাতিল করতে রাজি হননি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তার কথায় আমি জীবন হাতে নিয়ে আপনাদের কাছে এসেছি।”

অভিষেক বলেন, “আমার যদি সাগরদিঘি যেতে গিয়েও প্রাণও যায়; যাবে। কিন্তু বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএমের নির্লজ্জ চক্রব্যূহের পর্দা ফাঁস আমি করবই।” এই কথা ভেবেই কলকাতা থেকে তিনি রওনা দেন। এতে নির্দিষ্ট সময়ের থেকে এক ঘণ্টা, ৪০ মিনিট পৌঁছতে দেরি হলেও কথা রেখেছেন অভিষেক। মঞ্চ থেকে বাম-কংগ্রেস-বিজেপির গোপন বোঝাপড়ার পর্দা ফাঁস করেছেন তিনি।

একইসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন সাগরদিঘির নির্বাচন উপনির্বাচন এত গুরুত্বপূর্ণ। অভিষেক বলেন, “২০২১-এর ভোটের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সাগরদিঘির উপনির্বাচন। সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপির অশুভ আঁতাঁতকে জবাব দেওয়ার সময় এসেছে। মীরজাফরদের হারাতে হবে। একটা বুথেও তৃণমূল হারলে, সেটা হবে মীরজাফরের বুথ।”
