দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana)বিষ্ণুপুরে তৃণমূল নেতা (TMC Leader) খু*নে গ্রেফতার বিজেপি নেতা। তৃণমূলের বুথ সভাপতি খুনে মূল অভিযুক্ত বিজেপির অঞ্চল আহ্বায়ক ভাস্কর মাল (Bhaskar Mal) গ্রেফতার। পুরনো আক্রোশের জেরে খুন বলেই অনুমান পুলিশের। তবে রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, তার আগে এলাকার দখল নিতেই দক্ষ সংগঠক বলে পরিচিত তৃণমূলের বুথ সভাপতি সাধনকে খুন করেছে বিজেপি, দাবি শাসক দলের।

গতকাল, রবিবার সন্ধ্যেয় তিন দুষ্কৃতী আচমকা বাইকে করে এসে এলোপাতাড়ি গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় দক্ষিন ২৪ পরগনার জেলার বিষ্ণুপুরের তৃণমূল নেতা সাধন মন্ডলকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাইকের চালকের মুখ রুমাল দিয়ে ঢাকা ছিল। আর যে দুই দুষ্কৃতী গুলি চালিয়েছে, তাদের মুখ ঢাকা ছিল না। তারা এলাকার নয়। তা থেকেই পুলিশের অনুমান তৃণমূল নেতাকে খুন করতে ভাড়াটে খুন লাগানো হয়েছিল। যারা শার্প শুটার। পয়েন্ট ব্লাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে চম্পট দেয় তারা।

এই ঘটনার পরই পাঁচজন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়। তারা প্রত্যেকেই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিজেপিও কর্মী হিসেবে পরিচিত। এই খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন সাধনের ভাইপো খোকন মন্ডল।

তৃণমুল কংগ্রেসের আঁধারমানিক অঞ্চলের সভাপতি পিন্টু সর্দার অভিযোগ করেন, একাধিকবার সাধনকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সাধনকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। সাধনকে দলে নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় নিজেদের সংগঠন শক্তিশালী করতে চাইছিল বিজেপি।

এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহন দফতরের প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মন্ডল বলেন, “এলাকায় দক্ষ সংগঠক ছিল সাধন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাকে খুন করে এলাকায় বিজেপি মানুষের মনে ভয় ধরিয়ে সংগঠনের ভিত শক্ত করতে চাইছে। এই ঘটনার পিছনে বিজেপির যোগ আছে। আগে এলাকায় যারা সিপিএম করত তারাই এখন বিজেপি করছে। তারাই এই খুন করিয়েছে”।

অবশেষে বিজেপির অঞ্চল কনভেনরকে এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। বিজেপি নেতা ভাস্করের বাড়িতেই খুনের আগে মিটিং করে খুনিরা। এরপর ভাস্কর ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে এসেই স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে বসে থাকা তৃণমূল নেতা বুথ সভাপতিকে চিনিয়ে দেয়। পুলিশের অনুমান, মুখে রুমাল ঢাকা বাইক চালক-ই আসলে বিজেপি নেতা ভাস্কর মাল।