রাজনাথের সামনেই বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে প্রাক্তনীদের ঢুকতে বাধা, উপাচার্য বিরোধী পোস্টারে ছয়লাপ

সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগে থেকেই চাপা উত্তেজনা ছিল বিশ্বভারতীতে। সেই আবহে এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ

বিতর্ক কিছুতেই থামছে না বিশ্বভারতীতে। প্রাক্তনীদের সঙ্গে উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে উত্তাপের আঁচ ছড়াল সমাবর্তন অনুষ্ঠানেও। এবার বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হয়ে এসেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাঁর সামনেই অশান্তির আগুন। প্রাক্তনীদের একটি বড় অংশকে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল বিশ্বভারতী চত্বরে। কর্তৃপক্ষের এমন স্বৈরাচারী মনোভাবের বিরুদ্ধে উপাসনাগৃহের মূল ফটকের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান প্রাক্তনীরা।

তবে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগে থেকেই চাপা উত্তেজনা ছিল বিশ্বভারতীতে। সেই আবহে এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পোস্টারে ছয়লাপ। পোস্টারে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তোলা হয়েছে। লেখা হয়েছে, “ভিসি দূর হটো, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী গো ব্যাক”! পোস্টারে সমাবর্তনকে “রাজনৈতিক অনুষ্ঠান” বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এই ঘটনার পরেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রাক্তনীদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি, বিশ্বভারতীর কিছু আশ্রমিক ও প্রাক্তনীদের “অশিক্ষিত” বলে কটাক্ষ করেছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, “এখানে অনেক অশিক্ষিত এবং অল্পশিক্ষিত মানুষেরা আছেন যাঁরা নিজেদের পরিচিতি বাড়ানোর জন্য শব্দবাণের দ্বারা বিশ্বভারতীকে কলুষিত করে যাচ্ছেন। আমি বলি, এঁরা বুড়ো খোকা। বুড়ো বয়সে মানুষের ভারসাম্য হয়তো নষ্ট হয়, সেই জন্যই বোধ হয়। কারণ বিশ্বভারতীর কোনও কাজে তাঁদের পাওয়া যায় না। কিন্তু তাঁরা প্রতিনিয়ত বিশ্বভারতীর সমালোচনা করতে উৎসুক।” এর পরই এদিন প্রাক্তনীদের সমাবর্তনে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল।

আরও পড়ুন:ভূ*মিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া, কম্পন মাত্রা ৬.২

 

 

Previous articleভূ*মিকম্পে কাঁপল ইন্দোনেশিয়া, কম্পন মাত্রা ৬.২
Next articleপারিবারিক অনুষ্ঠান সেরে আর ফেরা হল না বাড়ি! মাঝপথেই প্রা*ণ গেল একই পরিবারের ১১ জনের