রাম-বাম অশুভ আঁতাঁতকে ইভিএমে জবাব! সাগরদিঘিতে তৃণমূলের দিকেই পাল্লা ভারীর ইঙ্গিত

পায়ের তলায় জমি নেই। বুঝতে পেরেই সাগরদিঘির উপনির্বাচনে রাম-বাম হাত মিলিয়ে ছিল। পিছিয়ে নেই কংগ্রেসেও। এই তিনটি দলের ভিতরের কঙ্কালসার চেহারাটা বেরিয়ে পড়েছে। অভিযোগ, দিনভর এরা একে অপরের হয়ে ভোট করিয়েছে। তারপরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজের পক্ষেই মানুষ রায় দিয়েছেন বলে ইঙ্গিত। আগামী ২ মার্চ ফল প্রকাশের দিনই বিজেপি, সিপিআইএম ও কংগ্রেস নিজেদের অবস্থানটা বুঝতে পারবে বলে মত তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের।

তবে, সোমবার প্রত্যাশা মতো শান্তিপূর্ণ ভাবেই সাগরদিঘি কেন্দ্রের উপনির্বাচন হয়েছে। বিজেপি ও কংগ্রেস প্রার্থী গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করলে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা তার তীব্র প্রতিবাদ করেন। দু-একটি ঘটনা বাদ দিলে মোটের উপর উৎসবের মেজাজেই ভোট দেন সাগরদিঘির মানুষ। বুথে বুথে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭৩ শতাংশ। ভোট গ্রহণ চলে সন্ধে সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত। তবে, রাজ্য পুলিশকে বুথ থেকে সরিয়ে দেওযা থেকে শুরু করে তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দোপাধ্যায়কে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়া- বেশ কিছু ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর অতিসক্রিয় ভূমিকা লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সবরকম প্ররোচনা এড়িয়ে মাথা ঠান্ডা রেখেই ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করেছেন।

সোমবার দিনের শুরুতেই কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাসের সঙ্গে কংগ্রেস নেতা সাইদুর রহমানের ভোটের টাকা লেনদেন সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ভাইরাল হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়ে ডেমেজ কন্ট্রোলে নামতে হয় অধীর চৌধুরীকে। একটা সময় বাইরন বিশ্বাসকে তাঁর গাড়ির সঙ্গে প্রচুর বহিরাগতদের নিয়ে বুথে বুথে ঘুরতে দেখা যায়। এর তীব্র প্রতিবাদ জানান তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা- কর্মীরা। আচমকাই সকালের দিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে বুথে ঢুকে রাজ্য পুলিশের কর্মীদের বের করে দেন। এতে সাময়িক ভাবে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ যায় কমিশনে। বিজেপি প্রার্থী ও কংগ্রেস প্রার্থীকে দেখা যায় হাসিমুখে কোলাকুলি করতে। ইঙ্গিত স্পষ্ট।

সাগরদিঘির মণিগ্রামে কুপনের বিনিময়ে বিজেপি ভোটারদের প্রভাবিত করতে মুড়ি- ঘুগনি খাওয়ানের ব্যবস্থা করে। দোকানদার ভজহরি মণ্ডল তা স্বীকার করায় পরিস্থিতি ঘোরালো হয়। অভিযোগ জমা পড়ে কমিশনে। এসব দেখে দিনের শেষে কুণাল ঘোষ নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, তৃণমূল প্রতিটি বুথে অন্তত ৫১ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ ভোট পাবে। তবে বিজেপি সিপিএম ও কংগ্রেসের অশুভ আঁতাঁত মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেল।

আরও পড়ুন- বুথ ফেরত সমীক্ষায় নাগাল্যান্ডে রেকর্ড ব্যবধানে জয়ের ইঙ্গিত NDPP-BJP জোটের

Previous articleবুথ ফেরত সমীক্ষায় নাগাল্যান্ডে রেকর্ড ব্যবধানে জয়ের ইঙ্গিত NDPP-BJP জোটের
Next articleমেঘরাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না কেউই, প্রথম লড়াইয়েই বাজিমাৎ তৃণমূলের