মাধ্যমিক চলাকালীন ভুয়ো শিক্ষক বাতিল নিয়ে নির্দেশ নয়, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি বসুর

নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন বেআইনি চাকরি বাতিল নিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া যাবে না। সোমবার এমনই কড়া মন্তব্য করলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।এদিন তিনি বলেন, “রাজ্যজুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এখন ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে পুরো পরীক্ষায় তার প্রভাব পড়বে। পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই এখনই এ নিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া সমস্যার। মাধ্যমিক মিটলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত।”, স্পষ্ট জানালেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

৯৫২ জনের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে প্রথমে মামলা ওঠে। সিবিআই তদন্ত-সহ একাধিক নির্দেশও দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে ওই মামলাটি বিশ্বজিৎ বসুর সিঙ্গল বেঞ্চে স্থানান্তরিত হয়। বিচারপতি বসু স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ৮০৫ জনের চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল করে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। এরপর চাকরিপ্রার্থীরা ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। তবে এখনও রায়দান স্থগিত রয়েছে।

উল্লেখ্য, “২০১৬ সালের নিয়ো গপ্রক্রিয়ায় নবম-দশম শ্রেণিতে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়। তার মধ্যে ১০ শতাংশ বা প্রায় হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।” পর্যবেক্ষণ বিচারপতি বসুর। নবম-দশম শ্রেণিতে বিকৃত ওএমআর  শিটে চাকরি মামলার রায়দান স্থগিত ডিভিশন বেঞ্চে। সেই রায়ের দিকে তাকিয়ে কমিশন।

 

Previous article‘চাকরি বাঁচানোর বিবৃতি’ রাজ্যপালের, কটাক্ষ কুণালের
Next articleখু*নের অভিযুক্তকে এনকা*উন্টারে মা*রল যোগীরাজ্যের পুলিশ