Saturday, August 23, 2025

নবম-দশম মামলায় বহাল সিঙ্গল বেঞ্চের রায়! বরখাস্ত শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ কমিশনের হাতেই

Date:

বরখাস্ত শিক্ষকদের আবেদন শুনল না কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। নবম ও দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এবার সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই বহাল রাখল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। স্বাভাবিকভাবেই সিঙ্গল বেঞ্চের পর এবার ডিভিশন বেঞ্চেও চাকরিহারাদের অস্বস্তি বজায় থাকল। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সিঙ্গল বেঞ্চের (Single Bench) রায়ে কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ নয়। ফলে ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিন বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন, কমিশনই সিদ্ধান্ত নেবে চাকরি হারানো শিক্ষকদের চাকরি থাকবে কী না? প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানেরই নিজস্ব আইনে চলার ক্ষমতা রয়েছে। আর সেক্ষেত্রে যদি কমিশন মনে করে তাহলে চাকরি যেতে পারে। উল্লেখ্য, সিবিআই ৯৫২ জন শিক্ষকের উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট উদ্ধার করে। ওই ৯৫২ জন শিক্ষক মামলায় যুক্ত হতে চেয়েছিলেন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) সেই আর্জি খারিজ করে দেন। এরপরই সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যান ৯৫২ জন শিক্ষক। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Bishwait Basu) নির্দেশে ৮০৫ জনের মধ্যে ৬১৮ জনের চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল এসএসসি। ওই নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ।

উল্লেখ্য, হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গেছে নবম-দশম শ্রেণির ৮০৫ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষক ও ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর। দুই ক্ষেত্রেই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়। নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে যান ৮০৫ জন শিক্ষক। কিন্তু বুধবারের শুনানিতে বিচারপতির পর্যবেক্ষণে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে আসে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত একজনও মামলাকারী দাবি করেননি, যে ওএমআর শিট (OMR Sheet) বিকৃতি হয়নি। এছাড়া যে ওএমআর শিট প্রকাশিত করা হয়েছে, সেটা যে তাঁদের নয়, তাও দাবি করা হয়নি বরখাস্ত শিক্ষক ও গ্রুপ ডি কর্মীদের তরফে। পাশাপাশি নিয়োগকারী সংস্থা হিসাবে কমিশনেরও বেশ কিছু আইন রয়েছে। তার ভিত্তিতে তাঁরা এই শিক্ষক ও কর্মীদের ক্ষেত্রে বরখাস্ত সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এদিন বিচারপতি সেই দিকগুলিই স্পষ্ট করে দেন।

পাশাপাশি এদিন ডিভিশন বেঞ্চের রায় ঘোষণার আগেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু মন্তব্য করেন, আমরা সেই সমাজে বসবাস করি না যেখান থেকে এর মুক্তি মিলতে পারে, সহানুভূতি চাইবেন না। আজ রায় ঘোষণার দিকে সবাই তাকিয়ে, দেখা যাক কী হয়। এছাড়াও নবম দশম মামলায় চাকরি যাওয়া শিক্ষকদের একাংশকে উদ্দেশ্য করে তিনি মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি চাকরি বরখাস্তের ক্ষেত্রে আদালতের কোন তাড়াহুড়ো নেই, তবে কিছু বিনিদ্র রাত কাটাতেই হবে আপনাদের।

 

 

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...
Exit mobile version