অ্যা*ডিনো সং*ক্রমণ (Adeno Virus)নিয়ে আ*তঙ্ক বাড়ছে। জ্বর-সর্দি-কাশি-শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে রাজ্যের হাসপাতালে হাসপাতালে শিশুদের উপচে পড়া ভিড়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বেড পাওয়াও দুষ্কর হয়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department) তরফে একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এবার সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে বুধবার কলকাতার বিসি রায় শিশু হাসপাতালে (B C Roy Child Hospital) যান রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব (Health Secretary) এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা স্বয়ং।

স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম (Narayan Swarup Nigam) এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য (Debasish Bhattacharya) এদিন বিসি রায় শিশু হাসপাতালে বেডের সংখ্যা খতিয়ে দেখেন বলে জানা যায়। আই সি ইউ (ICU)থেকে শুরু করে শিশুদের জেনারেল বিভাগে আগেই শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর কথা জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার স্বাস্থ্যসচিব এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার পরিদর্শনের পর বেডের সংখ্যা পর্যায়ক্রমিক ভাবে আরও বৃদ্ধি করা হবে। মোট ২২টি বেডের বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যে প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে শিশু মৃত্যুর হার। স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে শহরের দুটি সরকারি হাসপাতালে ৪ শিশুর মৃত্য়ু ঘিরে চিন্তায় চিকিৎসকরা। যদিও বিসি রায় শিশু হাসপাতালের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্বাস্থ্য সচিব সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

পাশাপাশি হাসপাতাল পরিদর্শনে যান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেনও (Shantanu Sen)। এদিন তিনি আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল, সুপার, ডেপুটি সুপার ও অন্যান্যদের নিয়ে শিশুদের ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। অ্যাডিনো ভাইরাস আক্রান্ত শিশুদের খোঁজখবর নেন তিনি, ঘুরে দেখেন অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন ইউনিট। পরিদর্শনের পর ডাঃ শান্তনু সেন জানান, রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal)ঘোষিত অ্যাডভাইজারি অনুযায়ী যাতে চিকিৎসা করা হয় সবাইকে তা বিশেষ ভাবে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
