দুর্নী*তির অভিযোগে ফের গ্রেফতার কাঁথির অধিকারী পরিবার ঘনিষ্ঠ দিলীপ বেরা

দিলীপ বেরার স্ত্রীর জীবন বিমা, ফিক্সড ডিপোজিট বাবদ জমা অর্থ রীতিমতো চমকে দিয়েছে পুলিশকে। এছাড়াও জমি, গাড়ি, বহু মূল্যবান সোনার খোঁজ পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে

দুর্নীতির অভিযোগে ফের পুলিশের হাতে গ্রেফতার কাঁথির অধিকারী পরিবার ঘনিষ্ঠ দিলীপ বেরা। অধিকারী জমানায় দিলীপ বেরা ছিলেন কাঁথি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার। এই নিয়ে তিনবার গ্রেফতার হলেন তিনি। প্রথমবার গ্রেফতার হয়েছিলেন কাঁথির রাঙামাটি শ্মশানে অবৈধ স্টল নির্মাণের অভিযোগে। এরপর দিলীপ বেরার বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ উঠলে পুলিশ ফের তাঁকে গ্রেফতার করে। আর এবার গ্রিনসিটি মিশন প্রকল্পে পথবাতি দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হলেন অধিকারী পরিবার ঘনিষ্ঠ দিলীপ।

অভিযোগ, দিলীপ বেরার স্ত্রীর জীবন বিমা, ফিক্সড ডিপোজিট বাবদ জমা অর্থ রীতিমতো চমকে দিয়েছে পুলিশকে। এছাড়াও জমি, গাড়ি, বহু মূল্যবান সোনার খোঁজ পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কাঁথি পুরএলাকার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দ পল্লব দত্তের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই গ্রেফতারি বলে জানা গিয়েছে।

তমলুক আদালত থেকে কাঁথি পুরসভার সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের ব্যাঙ্কের লকার তল্লাশির অনুমোদন পেয়েছিল কাঁথি থানার পুলিশ। শুরু হয় হিসাব বর্হিভূত সম্পত্তির তদন্ত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে দিলীপ বেরার সম্পত্তি দেখে হতবাক তদন্তকারীরা। দিলীপ বেরার একাধিক বিমা সংস্থায় লক্ষ লক্ষ টাকা রয়েছে বলে দাবি পুলিশের। একইসঙ্গে কাঁথির জনমঙ্গল সমবায় সমিতির লকারে এই ইঞ্জিনিয়ারের টাকা ও সম্পত্তির বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। কাঁথি পুলিশকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

পুলিশ সূত্রে খবর, দিলীপ বেরার সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি ১৯ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৪৭ টাকা। ১৯৯৭ সালের দিলীপ বেরা কাঁথি পুরসভায় কাজে যোগ দেন। সে সময় পুরসভায় অধিকারী পরিবারের সদস্যদের তুমুল দাপট। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, দিলীপ বেরার অ্যাকাউন্টে বেতন বাবদ ২০২২-এর ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৮৯ লক্ষ ৯৫ হাজার ৮৬৯ টাকা ঢুকেছে। এরপর বাকি অর্থের কী হিসাব তা খতিয়ে দেখছে কাঁথি পুলিশ ও জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

উল্লেখ্য, গত২৯ জুন কাঁথি শহরের রাঙামাটি শ্মশানে স্টল নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন পুরসভার বর্তমান পুরপ্রধান সুবল মান্না। কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ পত্রে তৎকালীন চেয়ারম্যান শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর নাম উল্লেখ করেন । এছাড়াও পুরসভার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ বেরা, পুরসভার ঠিকাদার সতীনাথ দাস অধিকারীর নামও উঠে আসে অভিযোগে। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে দিলীপ বেরাকে গ্রেফতার করে। এরপর ঠিকাদার সতীনাথ দাস অধিকারী, অলক সাহু এবং গোপাল সিংকে গ্রেফতার করা হয়। কাঁথি আদালত শর্তসাপেক্ষে তাঁদের জামিনে মুক্তি দেন। অন্যদিকে সৌমেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্ট থেকে রক্ষাকবচ পান।

 

 

Previous articleঅভিযান শেষ ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র, প্রয়াত সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়
Next articleগুরুতর অসুস্থ সোনিয়া গান্ধী হাসপাতালে ভর্তি