বাংলার হয়ে পর্যটনের সেরার পুরস্কার নিতে জার্মানি যাচ্ছেন নন্দিনী

একদিকে রাজভবন ও গেরুয়া শিবিরকে মোক্ষম জবাব, অন্যদিকে বাংলার এক কৃতি কন্যাকে তুলে ধরা বিশ্বের মঞ্চে। এক ঢিলে দুই পাখি মেরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। রাজভবন থেকে রাজ্যপালের সচিব পদ থেকে অপসারিত নন্দিনী চক্রবর্তীকে (Nandini Chakraborty) পর্যটন দফতরের দায়িত্ব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে কোন ভুল করেননি তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে শুক্রবার ৷ রাজ্যের তরফে পর্যটনে সামগ্রিক প্রসারের দায়িত্ব দিয়ে তাঁকে জার্মানি (Germany) পাঠাচ্ছে সরকার। শুধু তাই নয়, আসন্ন এই সফরে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা আন্তর্জাতিক পর্যটন ও বাণিজ্য মেলায় পশ্চিমবঙ্গের হয়ে সেরা সাংস্কৃতিক পর্যটন গন্তব্যের পুরস্কার নেবেন ১৯৯৪ ব্যাচের এই মহিলা IAS আধিকারিক।

রাজভবন থেকে অপসারিত হওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তথা বাংলার প্রশাসনে নন্দিনী চক্রবর্তীর গুরুত্ব যে বিন্দুমাত্র কমেনি কার্যত সেটাই দেখিয়ে ও বুঝিয়ে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশ্বের সবচেয়ে বড় পর্যটন মেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বার্লিনে। ৭ মার্চ থেকে ৯ মার্চ বসবে সেই মেলার আসর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হোটেল মালিক, ট্যুরিজম বোর্ডের সদস্য, ট্যুর অপারেটর-সহ পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যাঁরা সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা যোগ দেন এই মেলায়। ITB- Berlin-এ এবারই প্রথম ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে রাজ্য সরকার। স্রেফ বিভিন্ন সেমিনারে অংশ নেওয়া নয়ই, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে এ রাজ্যে পর্যটনের সম্ভাবনার দিকগুলি তুলে ধরবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশ্ব ট্যুরিজম বিভাগ অনুমোদিত প্যাসিফিক এরিয়া রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক পর্যটন গন্তব্যের পুরস্কার তথা সম্মান দিচ্ছে। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বিশ্বের সেরা পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে পুরস্কৃত করে আসছে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি। এই মেলায় অংশ নেওয়ার ফলে বিশ্বের সর্বত্র বাংলার পর্যটনের কথা ছড়িয়ে পড়বে। বিদেশের অধিকাংশ ভ্রমণ ম্যাগাজিনে বাংলার পর্যটনগুলির খবর উঠবে। সব মিলিয়ে বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় উঠে আসবে বাংলা। যা পর্যটন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা নেবে ভবিষ্যতে। প্রসঙ্গত, সাংস্কৃতিক পর্যটনকে গুরুত্ব দিতে আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে ছৌ, টুসুর মতো বাংলার নিজস্ব লোকশিল্পগুলির অনুষ্ঠান করতে বলেছিলেন। তা শুরু হয়। ফলে আয় বৃদ্ধি হয় শিল্পীদের। পাশাপাশি দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের কাছেও বাংলার লোকসংস্কৃতি উঠে আসে। এর পাশাপাশি ভ্রমণ সংস্থাগুলির সঙ্গে কাজ করতে চালু হয়েছে নয়া পর্যটন নীতি। এসবের হাত ধরেই বিশ্ব মঞ্চে স্বীকৃতি পেতে চলেছে বাংলা।

আরও পড়ুন- CII-এর রাজ্যের নতুন চেয়ারপার্সন হলেন সুচরিতা বসু

 

Previous articleCII-এর রাজ্যের নতুন চেয়ারপার্সন হলেন সুচরিতা বসু
Next articleঘুরে দাঁড়ানোর অবিশ্বাস্য জয় আর্সেনালের