বিশ্বের সেরা সাংস্কৃতিক পর্যটন গন্তব্য: আন্তর্জাতিক মঞ্চে পুরস্কৃত বাংলা

আন্তর্জাতিক (International) মঞ্চে পুরস্কৃত বাংলা। বুধবার, বিশ্বের সবচেয়ে বড় পর্যটন মেলা ITB বার্লিনের মঞ্চে বিশ্বের সেরা সাংস্কৃতিক পর্যটন গন্তব্য হিসেবে সম্মানিত হল পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal)। বিশ্বের ১৮০টি দেশের প্রতিনিধি ও সাত হাজারের বেশি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের সামনে বাংলার হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করলেন রাজ্যের পর্যটন সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী (Nandini Chakraborty)। রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করতে এই মহিলা আইএএস অফিসারের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলকে জার্মানি (Germany) পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)।

এদিন রাজ্যের পর্যটন সচিবের হাতে পুরস্কার তুলে দেন জামাইকার পর্যটন মন্ত্রী এডমন্ড বার্টলেট এবং সিসিলির পর্যটন মন্ত্রী অ্যালান এসটি এনজে। মোট আটটি দেশের পর্যটন মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন এই মেলায়।

প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার জোর দিয়েছেন রাজ্যের পর্যটন শিল্পের উপর। তাঁরই উদ্যোগে নতুন নতুন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। হোম-স্টের মাধ্যমে স্থানীয় মানুষের জীবন যাপনের মান উন্নয়ন করা এবং একইসঙ্গে পর্যটকদের সাধ্যের মধ্যে বেড়ানোর সুযোগের পথ খুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কাজেরই স্বীকৃতি মিলল বিশ্বের দরবারে।

রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশ্ব ট্যুরিজম বিভাগ অনুমোদিত প্যাসিফিক এরিয়া রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সাংস্কৃতিক পর্যটন গন্তব্যের পুরস্কার দিয়েছে। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বিশ্বের সেরা পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে পুরস্কৃত করে আসছে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি। এই মেলায় অংশ নেওয়ার ফলে বিশ্বের সর্বত্র বাংলার পর্যটনের কথা ছড়িয়ে পড়বে। বিদেশের অধিকাংশ ভ্রমণ ম্যাগাজিনে বাংলার পর্যটনগুলির খবর উঠবে। সব মিলিয়ে বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় উঠে আসবে বাংলা। যা পর্যটন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা নেবে ভবিষ্যতে।

সাংস্কৃতিক পর্যটনকে গুরুত্ব দিতে আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে ছৌ, টুসুর মতো বাংলার নিজস্ব লোকশিল্পগুলির অনুষ্ঠান করতে বলেছিলেন। তা শুরু হয়। ফলে আয় বৃদ্ধি হয় শিল্পীদের। পাশাপাশি দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের কাছেও বাংলার লোকসংস্কৃতি উঠে আসে। এর পাশাপাশি ভ্রমণ সংস্থাগুলির সঙ্গে কাজ করতে চালু হয়েছে নয়া পর্যটন নীতি। এসবের হাত ধরেই এই বিরাট মঞ্চে স্বীকৃতি পেল বাংলা।

আরও পড়ুন- ইউরোপীয় শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে মেসি-এমবাপ্পেদের অভিযান আজই কি শেষ ?