ন্যাড়া মাথায় ঘোল! নাটুকে কৌস্তভকে “শ্রীমান ফড়ে” কটাক্ষ জাগো বাংলায়

তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলা নাম না করে ন্যাড়া কৌস্তভের মাথায় কার্যত ঘোল ঢেলে দিল। আজ, শুক্রবার জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে চার আনার কংগ্রেস নেতাকে "ফোড়ে" বলে খোঁচা দেওয়া হয়েছে

এআইসিসি-তে জায়গা না পেয়ে সে-কী অভিমান, অভিমানী হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দল ছাড়ার বার্তা! কয়েক ঘন্টার মধ্যে ১৮০ ডিগ্রি পাল্টি মেরে সস্তায় প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা। দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে বিলো দ্য বেল্ট আক্রমণ। গ্রেফতার হয়ে জামিন পাওয়ার পর আরেকপ্রস্ত নাটক! প্রচারের আলোয় আসতে মাথা কামিয়ে রজনীগন্ধার মালা পড়ে যাত্রাপালা! কংগ্রেসের চার আনার নেতা কৌস্তভ বাগচীর প্রতিজ্ঞা, যতদিন না রাজ্য থেকে তৃণমূলের সরকারের পতন হচ্ছে, ততদিন ন্যাড়া থাকবেন।

আরও পড়ুন:মাথা মুড়িয়েছেন প্রেমিক! কৌস্তভকে বিয়ের প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান জানালেন প্রেমিকা   

শুধু তাই নয়, নীতি আদর্শ জলাঞ্জলি দিয়ে একমঞ্চে বিজেপির সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়েছে কংগ্রেস। তবে রাজনীতিতে অধিক আবেগতাড়িত হয়ে প্রচারের আলো পেতে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ ন্যাড়া হলেও ভবিষ্যতে তাঁর চুলের স্ট্যাইল কোন পথে যেতে পারে রীতিমতো কটাক্ষ করে তার খানিক আভাসও দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কৌস্তভের ন্যাড়া হওয়ার বিষয়টিকে রীতিমতো কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, “উনি যদি রাজনৈতিক কারণে ন্যাড়া হয়ে থাকেন, সেটা ভালো। এতে কিন্তু খরচ খানিক বাড়বে, কারণ চুল বাড়লে আবার চুল পরিস্কার করতে হবে। তবে যদি ২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি কম আসন পায় এবং বিকল্প সরকারে কংগ্রেস ও তৃণমূল দুই দল থাকে এবং একে অপরকে সহযোগিতা করে? তবে ওর চুলের স্ট্যাইল হবে একদিকে চুল, আরেক দিকে ন্যাড়া।”

এবার তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলা নাম না করে ন্যাড়া কৌস্তভের মাথায় কার্যত ঘোল ঢেলে দিল। আজ, শুক্রবার জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে চার আনার কংগ্রেস নেতাকে “ফোড়ে” বলে খোঁচা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কৌস্তভকে ভীরাম, ডরপুক, সুবিধাবাদী বলেও কটাক্ষ করা হয়।

ন্যাড়া কৌস্তভের মাথায় ঘোল ঢেলে জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, “কংগ্রেস যে ফড়েও আমদানি করে সেটা জানা ছিল না। বাংলায় শূন্য থেকে মহাশূন্যে পৌঁছে যাওয়া কংগ্রেস তেমনই এক ফড়েকে আমদানি করেছে। মাথাটাথা কামিয়ে, ভীষ্মের মতো প্রতিজ্ঞা করে একেবারে টলিউডের তৃতীয় শ্রেণির ফিচার ফিল্ম তৈরি করছেন রোজ। দু দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছিলেন, সম্মান নিয়ে আর কংগ্রেস করা যাবে না। কবে দল ছাড়ব; জানাব। প্রদেশ সভাপতির উপর প্রবল ক্রোধ। সাংবাদিকদের আবডালে বৃদ্ধ নেতাকে নিয়ে একথা সেকথা বলে হাসিয়েছেন। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুরো সামার সল্ট। কুকথা বলে গ্রেফতার হয়ে জামিন পেতেই পুরো যেন চে গুয়েভারা। বলে বসলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে সরাবেন, তবে টাকে চুল গজাবে। বামন হয়ে চাঁদ ধরতে যাওয়ার প্রবাদটা বোধহয় এঁদের জন্যই তৈরি হয়েছিল। এসব করে দুগ্ধপোষ্য রাজনীতিক দিল্লির কাকুদের ধাঁতানি খেয়েছেন। এসব কম বয়সের বালখিল্যতা। সেটা ফের মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ সভাপতিও। সেন্সরের খবর ফাঁস হতেই সে কী হম্বিতম্বি। কী মুশকিল বলুন তো! খোদ প্রদেশ সভাপতি বলছেন, আর বালক রাজনীতিক বলছেন কি না, একবার নাম বলুন, হিম্মত থাকলে বলুন, সাহস থাকলে বলুন। আরে যে খবর নিয়ে এত কথা বলছেন, সেখানে তো একটা নাম আছে। তারপরেও কেন দ্বিতীয় একজনকে টার্গেট! কাকে ভয় কেন ভয় কিসের ভয়? অবাচীন, তর্ক করতে গেলেও যুক্তিতে করতে হয়। কংগ্রেসের এই নতুন ফড়েকে দেখে পাড়ার কার্টুর কথা মনে পড়ছে… পাড়ায় মারামারি। কাটূ ভীরাম, ডরপুক, সুবিধাবাদী, পালাতে ওস্তাদ। সে পাড়ার কচি-কাঁচাদের বলে রেখেছে জামার হাতা গুটিয়ে যেই আমি মারতে যাব, তখন তোরা পিছন থেকে জাপটে ধরবি। বলবি, যেও না, যেও না… দেখিস, ভুল হয় না যেন। নইলে মুখের জিওগ্রাফি বদলে যাবে… শ্রীমান ফড়েকে কাল্টু ফড়ে বললে কি অন্যায় হবে।”

 

 

Previous article”অনশন-আন্দোলন নয়, আলোচনার মাধ্যমেও সমস্যার সমাধান হয়”, DA আন্দোলনকারীদের বার্তা রাজ্যপালের
Next articleবো*মা বাঁধতে গিয়ে বি*স্ফোরণ! প্রাণ গেল ১ জনের