‘’স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাকে বিধবা আখ্যা অপমানজনক”, বিধানসভার মন জয় রত্নার

১৯৪৪ ও ১৯৫৬ সালের দু’টি আইনের প্রসঙ্গ টানেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। ১৯৫৬ সালের আইনটির ক্ষেত্রে কয়েকটি সংশোধনের প্রস্তাবও রাখেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ‌্য স্বামী পরিত‌্যক্ত কোনও মহিলাকে "বিধবা'' না বলার আর্জি

“স্বামী পরিত্যক্ত মহিলাকে বিধবা আখ্যা দেওয়া অপমানজনক, তা পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার প্রতিফলন”।
আজ, শনিবার বিধানসভায় ‘দ‌্য বেঙ্গল অর্ফানেজেস অ‌্যান্ড উইডোজ হোমস’ (রিপিলিং) বিল-২০২৩ নিয়ে আলোচনার সময় এমনই মন্তব‌্যই করলেন তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ‌্যায়। তাঁর এই মন্তব্য নারী সমাজের জন্য খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিন ১৯৪৪ ও ১৯৫৬ সালের দু’টি আইনের প্রসঙ্গ টানেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। ১৯৫৬ সালের আইনটির ক্ষেত্রে কয়েকটি সংশোধনের প্রস্তাবও রাখেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ‌্য স্বামী পরিত‌্যক্ত কোনও মহিলাকে “বিধবা” না বলার আর্জি। এক্ষেত্রে রত্নাদেবী বলেন, মহিলাদের সুরক্ষার স্বার্থে মহিলা হোম মহিলাদের দ্বারাই পরিচালিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। পরিচালন কমিটির মাথায় সমাজের বিশিষ্টজনদের থাকার কথা। স্বামী পরিত‌্যক্ত ও বিধবারা যাতে সমাজে মাথা উঁচু করে নিরাপদে থাকতে পারেন, অনাথ শিশুরা যাতে বাড়ির মতো পরিবেশে হোমে বড় হতে পারে, তার জন‌্য প্রশাসনকে অনুরোধ করেন বেহালা পূর্বের বিধায়ক।

বেহালা পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়ের এই বক্ত‌ব‌্য অধিবেশন কক্ষেই অন‌্য মাত্রা যোগ করে। দলের অন্য বিধায়করা টেবিল চাপড়ে উৎসাহিত করেন রত্নাদেবীকে।ঘটনাচক্রে কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রত্নাদেবীর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে।

আরও পড়ুন- দাপট দেখাতে পারে কালবৈশাখী! ভিজবে রাজ্যের একাধিক জেলা

Previous articleদাপট দেখাতে পারে কালবৈশাখী! ভিজবে রাজ্যের একাধিক জেলা
Next articleআগামী সপ্তাহে সাগরদিঘি নিয়ে দলনেত্রীকে রিপোর্ট দেবেন সিদ্দিকুল্লা- রব্বানিরা