নৃ.শংস অত্যা.চারের পর পিটিয়ে খু.ন, গুজরাটের নে.শামুক্তি কেন্দ্রে ভ.য়াবহকাণ্ড

নেশামুক্তি কেন্দ্রে যুবকের সঙ্গে নৃশংস অত্যাচার। প্রায় ৯০ মিনিট ধরে নারকীয় অত্যাচারের পর পিটিয়ে খুন করা হলো যুবককে(Youth)। ঘটনায় ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্রের ম্যানেজার সহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের(Gujarat) পাটান এলাকায়। যুবকের মৃত্যুর পর এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে শেষকৃত্য সেরে ফেলে অভিযুক্তরা।

সুরাটের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পরিচালিত মেহসানা জেলার নেশামুক্তি কেন্দ্রে গত ছ’মাস ধরে ভরতি ছিলেন হার্দিক সুথার নামে এক যুবক। গত মাসে তাঁর মৃত্যু হয়। শেষকৃত্যও হয়ে গিয়েছিল। হার্দিকের পরিবারকের ওই কেন্দ্রের ম্যানেজার সন্দীপ প্যাটেল জানিয়েছিলেন, আচমকা রক্তচাপ কমে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। দিন দুয়েক আগে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারে পাটান এলাকার বি ডিভিশনের পুলিশ। তাদের সন্দেহ হওয়ায় নেশামুক্তি কেন্দ্রে এসে সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করতেই আসল তথ্য উঠে আসে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি শৌচাগারের ঢুকে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল হার্দিক। বিষয়টি জানতে পারে সন্দীপ-সহ সাত-আটজন শৌচাগারে ঢুকে তাঁর হাত-পা কষে বেঁধে দেয়। এরপর চলে অত্যাচার।

সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে প্লাস্টিকের মোটা পাইপ দিয়ে চলে মারধর। এরপর লাইটারের আগুনে পাইপের একাংশ গলিয়ে ফেলা হয়। আর সেই গরম তরল প্লাস্টিক ঢেলে দেওয়া হয়েছিল হার্দিকের গোপনাঙ্গে। এমনকী, তাঁর গোপনাঙ্গের লোম পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরপর এই মৃত্যুর ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে সন্দীপের গাড়িতে করে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হার্দিককে। সারা রাত গাড়িতেই পড়েছিল তাঁর দেহ। পরের দিন যুবকের আত্মীয়দের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর অভিযুক্ত ৮ জনকেই গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ।

Previous articleপ্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে আরও গতি, অষ্টম পর্যায়ের ইন্টারভিউয়ের বিজ্ঞপ্তি জারি
Next articleজেলে ঢোকানোর হুমকি দিয়ে বেকায়দায় শুভেন্দু, স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ মন্ত্রীর