বদলিতেও মোটা টাকা! শান্তনুকে জেরায় ইডির হাতে চা*ঞ্চল্যকর তথ্য

ইডি সূত্রে দাবি, শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে যে বিপুল পরিমাণ নথি পাওয়া গিয়েছে তা থেকে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, কর্মরত একাধিক ব্যক্তিকে পছন্দমতো জায়গায় বদলি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও সেখান থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবারই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির (Enforcement Directorate) কাছে গ্রেফতার (Arrest) হয়েছেন। শনিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জামিনের আবেদন করলেও তা মঞ্জুর করেনি আদালত। উল্টে তিনদিনের ইডি হেফাজতের (ED Custody) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তারপর থেকেই নিয়োগ দুর্নীতিতে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Shantanu Banerjee) টাকা লেনদেনের নানা খবর সামনে উঠে আসছে।

শুধু চাকরির বিনিময়ে টাকা নেওয়াই নয়, চাকরির বদলিতেও (Transfer) নাকি মোটা টাকা নিতেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির। সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ (Interrogation) করার পর একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। শান্তনুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি থেকেই এর প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি। ইডির তরফে আগেই জানানো হয়েছিল কমপক্ষে ৩০০-এরও উপরে যেসব চাকরিপ্রার্থীদের নাম এসেছিল, যাদের নাম সুপারিশ করার পরিকল্পনা ছিল সেখান থেকেও অযোগ্য প্রার্থী কমপক্ষে ৩০ জনের চাকরি হয়েছে। তবে সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর। আর এই অযোগ্য প্রার্থীদেরই টাকার বিনিময়ে সুপারিশ করতেন শান্তনু। ইডি সূত্রে দাবি, শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে যে বিপুল পরিমাণ নথি পাওয়া গিয়েছে তা থেকে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, কর্মরত একাধিক ব্যক্তিকে পছন্দমতো জায়গায় বদলি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও সেখান থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়েছে। অতএব নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি বদলি করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাভবান হয়েছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে ইডি আধিকারিকরা শান্তনুর থেকে বারবার জানতে চাইছেন তিনি মিডলম্যান হলে আসল মাথা কে? ইডি সূত্রে খবর, বেশ কিছু দলের সদস্যরা নাকি চাকরির জন্য আবেদন করত এবং তার মধ্যস্থতা করত শান্তনু এবং তারপরই সেই সুপারিশ পাঠিয়ে দেওয়া হত শীর্ষ কর্তাদের কাছে। কিন্তু তাঁরা কারা? তারই উত্তর খোঁজার চেষ্টায় ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি কতজন এমন সুপারিশের আবেদন করেছেন তাও শান্তনুর থেকে জানতে চান তদন্তকারী আধিকারিকরা। পাশাপাশি একজন সাধারণ পদে কর্মরত হয়েও কীভাবে শান্তনুর সম্পত্তির পরিমাণ ফুলেফেঁপে উঠল তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা। তবে ইডি সূত্রে দাবি, চাকরি পিছু চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা প্রার্থীদের কাছ থেকে নিতেন শান্তনু।

 

 

 

Previous article৩৪ বছর পর ‘নোটিশ’ পেলেন রাম-সীতা ! চমকে উঠল বিনো দুনিয়া
Next articleতেজস্বীকে সিবিআই তলব, বিজেপির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন প্রিয়াঙ্কা