কৌস্তুভের বিরুদ্ধে এফআইআর-এর উপর স্থগিতাদেশ বিচারপতি মান্থার

কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচীর বিরুদ্ধে এফআইআর-এর উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, আগামী চার সপ্তাহ এই মামলা স্থগিত থাকবে। এই সময়ের মধ্যে কৌস্তুভের বিরুদ্ধে নতুন করে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।এমনকী, মাঝরাতে কংগ্রেস নেতার বাড়ি গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করার পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে আদালতে রিপোর্ট পেশ করার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।

কৌস্তভ বাগচির বাড়ির সামনে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, নির্দিষ্ট কোনও মামলায় আদালত কোনও বক্তব্য রাখছেন বা নির্দেশ দিচ্ছেন সে বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। যদি আদালত কোনও একটি মামলায় মামলা সংক্রান্ত কোনও বক্তব্য রেখে থাকেন সেটা সম্পূর্ণভাবে তাঁদের বিষয় এবং এক্ষেত্রে যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ হয়ে থাকে তাহলে সেটা কেন্দ্রের মতেই হয়েছে। কিন্তু এরপরই কুণাল বলেন, মাননীয় আদালতের এটা ধারণা কী করে হল যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিলে তবেই ভালো কাজ হবে? নিশ্চিতভাবে রাজ্যের পুলিশও সেই কাজ করতে পারত। তবে ভালোই হয়েছে বিজেপির বাহিনী মহাজোটের সব দলের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেবে।

গত ৩ মার্চ হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে গভীর রাতে কৌস্তুভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। অভিযোগ, ‘বিনা কারণে’ বড়তলা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। কৌস্তুভের গ্রেফতারির পর কংগ্রেস এবং বাম আইনজীবীরা তাঁর পাশে দাঁড়ান। কংগ্রেস এবং বামেরা কৌস্তুভের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে জানায়, এই ঘটনা নিয়ে জাতীয় স্তরে আন্দোলন করা হবে। পুলিশের বক্তব্য ছিল, কৌস্তুভকে হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর দায়ে গ্রেফতার করা হয়।

যদিও ৪ মার্চ ব্যাঙ্কশাল আদালত তাঁকে এক হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেয়।ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরেই চুল কামিয়ে ন্যাড়া হন কৌস্তভ।

 

Previous articleআইএসএল ফাইনালে গোয়ার মাঠে থাকছে মনকাড়া বিনোদন !
Next articleশীতলাপুজোয় র*ণক্ষেত্র বেলেঘাটা, ঘটনাস্থলে পুলিশ