বিচারপতি মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টার! অভি*যুক্তদের হাজিরার নির্দেশ হাই কোর্টের

বুধবার মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি পুলিশকে বলেন, তদন্তের নামে আদালতের সঙ্গে লুকোচুরি খেলবেন না। এরপরই বিচারপতি কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেন, গত ৯ জানুয়ারির ঘটনায় পুলিশ যে ৬ জনের নাম জানিয়েছিল, তাঁদের যেন আগামী শুনানির দিন হাই কোর্টে উপস্থিত করানো হয়।

কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বিরুদ্ধে বেনামি পোস্টার এবং এজলাস অবরোধের ঘটনায় আদালত অবমাননা মামলার শুনানি হবে ৩ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চেই। বুধবার ঘটনায় চরম বিরক্তি প্রকাশ করে হাই কোর্ট সাফ জানায়, ঘটনায় অভিযুক্ত ৬ জনকে পরবর্তী শুনানির দিন হাজির থাকতেই হবে। আর তাঁদের হাজিরার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে কলকাতা পুলিশকেই। বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের বৃহত্তর বেঞ্চেই হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২৭ মার্চ।

বুধবার মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি পুলিশকে বলেন, তদন্তের নামে আদালতের সঙ্গে লুকোচুরি খেলবেন না। এরপরই বিচারপতি কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেন, গত ৯ জানুয়ারির ঘটনায় পুলিশ যে ৬ জনের নাম জানিয়েছিল, তাঁদের যেন আগামী শুনানির দিন হাই কোর্টে উপস্থিত করানো হয়। পাশাপাশি এজলাসের বাইরে বিক্ষোভে যুক্ত থাকা আইনজীবীদেরও চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পরবর্তী শুনানির দিন ঘটনায় যুক্তদের নাম সিল কভারে বন্দি করে বিশেষ বেঞ্চের হাতে তুলে দিতে হবে বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে (President of Bar Association)। জানা গিয়েছে, এদিন কমিশনার অফ পুলিশও সিল কভারে (Seal Cover) একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন আদালতে। কিন্তু সেই রিপোর্ট এখানও খোলা হয়নি। আগামী শুনানির দিন খোলা হবে সেই রিপোর্ট। এদিন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, পুলিশ সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন। রাতের অন্ধকারে কারা কী করে গিয়েছে এমনকী কেউ এমন কাজ করে তৃণমূলের দিকে মিথ্যা আঙুল তুলতে চাইছে সেগুলিও খতিয়ে দেখতে হবে। ফলে সেগুলি নিশ্চিতভাবে পুলিশ প্রশাসনকে যা যা জানানোর আদালত জানাবে।

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে আদালত চত্বরে আইনজীবীদের বিক্ষোভ চলাকালীনই পোস্টার পড়ে তাঁর পাড়ায়। দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্কের বাসিন্দা বিচারপতি মান্থা। সেই এলাকা ছেয়ে যায় তাঁর সম্পর্কে নিন্দামূলক পোস্টারে। এরপরই রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করে হাই কোর্ট। যদিও সেই পোস্টার কারা লাগিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। নীচে কোনও ব্যক্তি বা সংগঠনের নামও ছিল না। শুধু লেখা ছিল, শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে ওঠা মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়ে দেওয়া হল। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করার ব্যাপারে জারি হল নিষেধাজ্ঞা। বিচারপতি হয়ে তিনি এটা করতে পারেন না। শুধু তাই নয়, সেদিনই বিচারপতি মান্থার এজলাসের সামনেও দরজা আগলে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীদের একাংশ। পরে বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কটের প্রস্তাবও আনেন বার কাউন্সিলের কলকাতা শাখার সদস্যদের কয়েকজন।

 

 

Previous articleশীতলাপুজোয় র*ণক্ষেত্র বেলেঘাটা, ঘটনাস্থলে পুলিশ
Next articleঅমর্ত্য সেনের প্রয়াত বাবাকে “দখলকারী” আখ্যা বিশ্বভারতীর! কী বললেন নোবেলজয়ীর আইনজীবী?