অমর্ত্য সেনের প্রয়াত বাবাকে “দখলকারী” আখ্যা বিশ্বভারতীর! কী বললেন নোবেলজয়ীর আইনজীবী?

শুনানিতে দু’পক্ষের আইনজীবী তাঁদের স্বপক্ষে যুক্তি খাড়া করেন। বোলপুর ভূমি আধিকারিক জানান, দু’পক্ষের শুনানির বিষয় তিনি উচ্চপর্যায়ে জানাবেন। তাদের সিদ্ধান্ত দু’পক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হবে

বিশ্বভারতী এবং নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের জমি বিবাদের মামলা ঝুলেই রইল। আজও কোনও নিষ্পত্তি হল না। বুধবার শুনানিতে দু’পক্ষের আইনজীবী তাঁদের স্বপক্ষে যুক্তি খাড়া করেন। বোলপুর ভূমি আধিকারিক জানান, দু’পক্ষের শুনানির বিষয় তিনি উচ্চপর্যায়ে জানাবেন। তাদের সিদ্ধান্ত দু’পক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ শতক জমি নাকি জবরদখল করে রেখেছেন অমর্ত্য সেন।

বিশ্বভারতীর আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাস জমি দখলের ক্ষেত্রে অমর্ত্য সেনের বাবা প্রয়াত আশুতোষ সেনকে “দখলকারী” হিসাবে চিহ্নিত করেন। তাঁর কথায়, “বিশ্বভারতী ৯৯ বছরের জন্য ১.২৫ শতক জমি লিজ হিসাবে দিয়েছিল। কিন্তু তাঁর বাবা চালাকি করে আরএস রেকর্ড ১.৩৮ শতক অর্থাৎ ১৩ শতক বাড়তি জমির রেকর্ড করান। তারই ভিত্তিতে অমর্ত্য সেন মিথ্যা দাবি করে রেকর্ডের দাবি করছেন। যা অযৌক্তিক।” বিশ্বভারতীর দাবিকে খারিজ করে অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তী বলেন, “প্রশাসন শুধু জটিলতা বাড়াচ্ছে। অমর্ত্য সেনের বাবার নামে যে রেকর্ড সেই রেকর্ড শুধু অমর্ত্য সেনের নামে করে দেবে। তাহলেই ঝামেলা চুকে যাবে। কিন্তু তা করা হচ্ছে না।”

অন্যদিকে, এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অশোক মাহাতো জানান, “বিশ্বভারতীর ইতিহাসে গত ২৫ বছরে কাউকে দ্বিতীয়বার জমি লিজ দেওয়া হয়নি। কিন্তু যেহেতু জগতবিখ্যাত অমর্ত্য সেন, তাই তাঁকে বিশেষ সন্মান দিয়ে বিশ্বভারতী উচ্চপর্যায়ের শিক্ষা সংসদ এই জমি তাঁর নামে দিয়েছেন। এবং অমর্ত্য সেনের আবেদনের ভিত্তিতে ২০০৬ সালে ১.২৫ শতক জমি তাঁর নামে মিউটেশন করে দেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি তিনি জানান, শুধু অমর্ত্য সেন নয়, আরও অনেকে বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রয়েছেন।

আরও পড়ুন- বিচারপতি মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টার! অভি*যুক্তদের হাজিরার নির্দেশ হাই কোর্টের

Previous articleবিচারপতি মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টার! অভি*যুক্তদের হাজিরার নির্দেশ হাই কোর্টের
Next articleআইনজীবী সঞ্জয় বসুকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট