ফের ম*রণোত্তর অঙ্গদানের সাক্ষী তিলোত্তমা, নবঅঙ্গে জীবন পেলেন প্রবীণ-প্রবীণা

জানা গিয়েছে, বর্তমানে অ্যাপোলো হাসপাতালে যকৃতের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসাধীন মণিপুরের বছর ৫৯-এর এক প্রৌঢ়া। তাঁর শরীরে সঞ্জীবের যকৃৎ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। অন্যদিকে, আর এন টেগোর হাসপাতালে ৫২ বছরের এক প্রৌঢ়ের শরীরে প্রতিস্থাপিত হয়েছে হৃৎপিণ্ড।

ফের মরণোত্তর অঙ্গদানের (Organ Donation) সাক্ষী শহর কলকাতা (Kolkata)। জানা গিয়েছে, ৪৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তির অঙ্গে নতুন জীবন ফিরে পেলেন আরও দু’জন। বুধবার অঙ্গ প্রতিস্থাপনের পরে রোগীরা সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, গত ১২ মার্চ রবিবার লেক টাউনের (Lake Town) বাসিন্দা সঞ্জীব তাঁতিয়া পথ দুর্ঘটনায় মাথায় গুরুতর চোট পান। তড়িঘড়ি তাঁকে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন পরিস্থিতি বেগতিক। ধীরে ধীরে ব্রেন ডেথের (Brain Death) দিকে এগোচ্ছেন সঞ্জীব।

আর ব্রেন ডেথ নিশ্চিত বুঝেই অঙ্গদানের বিষয়ে সঞ্জীবের পরিবারকে বোঝাতে শুরু করেন চিকিৎসকরা। এরপরই সঞ্জীবের স্ত্রী সঙ্গীতা এবং দুই ছেলে মরণোত্তর অঙ্গদানে রাজি হন। আর সেই মতো শুরু হয় তোড়জোড়। এরপরই রিজিওনাল অর্গান অ্যান্ড টিসু ট্রান্সপ্লান্ট অর্গানাইজেশন-র (Regional Organ and Tissue Transplant Organisation) মাধ্যমে গ্রহীতার খোঁজ শুরু হয়। ঠিক হয় যকৃৎ (Liver), হার্ট (Heart) এবং দু’টি কিডনি (Kideny) প্রতিস্থাপন (Transplant) করা হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দেখা যায়, সঞ্জীবের দু’টি কিডনির কোনওটিই প্রতিস্থাপনযোগ্য নয়। আর তখনই কিডনি প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়।

জানা গিয়েছে, বর্তমানে অ্যাপোলো হাসপাতালে (Apollo Hospital) যকৃতের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসাধীন মণিপুরের বছর ৫৯-এর এক প্রৌঢ়া। তাঁর শরীরে সঞ্জীবের যকৃৎ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। অন্যদিকে, আর এন টেগোর (R N Tagore) হাসপাতালে ৫২ বছরের এক প্রৌঢ়ের শরীরে প্রতিস্থাপিত হয়েছে হৃৎপিণ্ড। তবে অ্যাপোলো থেকে দক্ষিণ কলকাতার আর এন টেগোরে হার্ট পৌঁছে দিতে গ্রিন করিডরের (Green Corridor) ব্যবস্থা করে পুলিশ। এরপরই শুরু হয় অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কাজ।

 

 

Previous articleজিরো টলারেন্স, তো*লাবাজির অভিযোগ উঠতেই ফের এক যুবনেতাকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
Next articleসংক্রমণ ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় কাবু শিশুরা, অভিভাবকদের সতর্ক করে নির্দেশিকা নবান্নের