জিরো টলারেন্স, তো*লাবাজির অভিযোগ উঠতেই ফের এক যুবনেতাকে বহিষ্কার করল তৃণমূল

পানিহাটি পৌরসভা এলাকায় সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা করেছেন। তাই শুধু দল থেকে বহিষ্কার নয়, পৌরসভার চাকরি থেকেও বরখাস্ত করা হয় এই তৃণমূল যুব সভাপতিকে

দুর্নীতি, তোলাবাজি, অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ নয়। জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে ফের একবার দলের অবস্থান বুঝিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি অভিযুক্ত দুই যুবনেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে দোষ প্রমাণ হওয়ার আগেই বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। আতস কাঁচের নীচে সর্বস্তরের নেতাদের ভাবমূর্তি যাচাই করছে ঘাসফুল শিবির।

এবার আর্থিক দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজের জন্য পানিহাটির যুব সভাপতি সোমনাথ ভট্টাচার্যকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি, পানিহাটি পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল যুব কংগ্রেস সভাপতি সোমনাথ ভট্টাচার্যের নামে আর্থিক দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজের অভিযোগ আসছিল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। সূত্রের খবর, সেই অভিযোগ যাচাইয়ের পর দলের স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য দেরি না করে তৃণমূল যুব সভাপতি সোমনাথ ভট্টাচার্যকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল।

অভিযোগ, সোমনাথ ভট্টাচার্যের পানিহাটি পৌরসভা এলাকায় সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা করেছেন। তাই শুধু দল থেকে বহিষ্কার নয়, পৌরসভার চাকরি থেকেও বরখাস্ত করা হয় এই তৃণমূল যুব সভাপতিকে। তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় পর্যায়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থাও।

এই প্রসঙ্গে উত্তর পানিহাটি যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পার্থ চৌধুরী বলেন, “দলের উচ্চ-নেতৃত্বের কাছে ওনার নামে অনেক অভিযোগ জমা পড়েছিল। দলের কোনও কর্মসূচিতে থাকতেন না, অথচ দলের নাম ভাঙিয়ে ওনার নামে অনেক টাকা নেওয়ারও অভিযোগ উঠছিল। এর আগে বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় তাঁকে দফতর থেকে সরিয়ে দেন। লাগাতার অভিযোগের জেরেই ওনাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল।”

Previous articleচলতি বছরেই নির্বাচনের সম্ভাবনা, জনগণনায় প্রবল আপত্তি ভূস্বর্গের একাংশের!
Next articleফের ম*রণোত্তর অঙ্গদানের সাক্ষী তিলোত্তমা, নবঅঙ্গে জীবন পেলেন প্রবীণ-প্রবীণা