অসমে ‘‘৬০০টি মাদ্রাসা বন্ধ করেছি, বাকিগুলিও করব।’’ কর্নাটকে বিজেপির সভায় ঠিক এমনভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। পাশাপাশি, তাঁর ঘোষণা, ধাপে ধাপে রাজ্যের সবক’টি মাদ্রাসাকে বন্ধ করা হবে।
কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শিক্ষাক্ষেত্রে গেরুয়াকরণের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। বিজেপি শাসিত অসম সরকার মাদ্রাসাগুলিকে সাধারণ স্কুলে বদলে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা বহাল রেখেছে গৌহাটি হাই কোর্ট। বিভিন্ন মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের তরফে হাই কোর্টের সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু শীর্ষ আদালত অসম সরকারের উদ্যোগে স্থগিতাদেশ দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে মাদ্রাসাগুলি পুরোপুরি বন্ধ করে সাধারণ সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ঘোষণা করল হিমন্ত সরকার।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে অসম সরকার জানিয়েছিল, যে স্কুলগুলিকে মাদ্রাসা শিক্ষা দেওয়া হয় সেগুলির বহু খরচ সরকার বহন করে। আর সরকার কোনও বিশেষ সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা করে সুবিধা করে দিতে এই খরচ বহন করে না। রাজ্যের এই বক্তব্য এবং সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছিল গুয়াহাটি হাই কোর্ট।
এর পর হাই কোর্টের সেই রায়কে স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে অসমের মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি। সুপ্রিম কোর্টে আবেদনকারীরা জানায়, হিমন্ত সরকার যে যুক্তি দেখাচ্ছে তা ভারতীয় সংবিধানের মাদ্রাসা সংক্রান্ত দু’টি আইনের বিরোধী। এমনকি, সংবিধানের ২৮(১) ধারারও বিরোধী। ওই ধারায় বলা হয়েছে, সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে চলে না যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি, তাদের উপর কোনও ধর্মীয় নিয়ন্ত্রণ চাপানো যাবে না।