নজরে মস্কোর বৈঠক! গ্রে.ফতারি পরোয়ানা জারির পরেও মুখোমুখি পুতিন-জিনপিং  

তৃতীয়বারের জন্য চিনের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম বিদেশ সফরে গেলেন জিনপিং। পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন, আর সেই আবহেই এবার পুতিনের পাশেই দাঁড়ালেন বন্ধু শি জিনপিং।

দিন কয়েক আগেই আন্তর্জাতিক আদালতের (International Crime Court) তরফে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা (Arrest Warrant) জারি হয়েছে। আর এই আবহেই এবার মুখোমুখি হলেন প্রিয় বন্ধু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। সোমবারই রাশিয়া পৌঁছে গিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট (President of China)। জানা গিয়েছে তাঁকে সাদরে অভ্যর্থনাও জানিয়েছেন পুতিন। তৃতীয়বারের জন্য চিনের প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম বিদেশ সফরে গেলেন জিনপিং। পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন, আর সেই আবহেই এবার পুতিনের পাশেই দাঁড়ালেন বন্ধু শি জিনপিং।

রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরেই রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে (Moscow) পৌঁছেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এদিনই দুজনের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথাও জানা গিয়েছে। তবে সূত্রের খবর, মস্কোর বৈঠকে যুদ্ধ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে সেই সংঘাত সমাধানে চিনের বেশ কিছু প্রস্তাব রয়েছে। তাই নিয়েই দুজনের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। জিনপিংকে যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার অবস্থান জানাবেন পুতিন। তবে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন আদালত পুতিনকে যুদ্ধপরাধী ঘোষণা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা (Arrest Warrant) জারি করার পর এই প্রথম কোনও দেশের প্রধান হিসেবে জিনপিং পুতিনকে পাশে থাকার আশ্বাস দিতে তাঁরই দেশে গেলেন।

যদিও চিনের প্রেসিডেন্ট মস্কোয় পা দেওয়ার আগে আন্তর্জাতিক আদালতের ঘোষণাকে কটাক্ষ করেছে মস্কো। পাশাপাশি, ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে অত্যাধিক বেশি মাথা ঘামাচ্ছে আমেরিকা, এমনটাই দাবি পুতিন প্রশাসনের। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাফ জানিয়েছেন, চিনের প্রেসি়ডেন্টের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে তাঁর উচ্চাকাক্ষা রয়েছে। দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে যেভাবে পুতিন ও রাশিয়াকে একঘরে করতে উঠে পড়ে লেগেছে আমেরিকা ও পশ্চিমি দুনিয়ার দেশগুলি, তার জবাবে চিনের রাশিয়ার পাশে দাঁড়ানোয় দুই দেশের শক্তি যে নয়া বার্তা দেবে তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার।

 

 

 

Previous articleমঙ্গল-সন্ধ্যায় ওড়িশা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, সফরসূচিতে জগন্নাথধাম থেকে নবীন-সাক্ষাৎ
Next articleএখনই সিআরপিএফ নিরাপত্তা নয়, কৌস্তভ সমস্যার দ্রুত সমাধান চান বিচারপতি মান্থা