সুপ্রিম নির্দেশে স্বস্তি জিতেন্দ্রর! দু’সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমার নির্দেশ আদালতের

সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরীর ডিভিশন বেঞ্চে জিতেন্দ্র তিওয়ারির মামলার শুনানি হয়। আদালত সাফ জানায়, আগামী ২ সপ্তাহের জন্য জিতেন্দ্রর গ্রেফতারির উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ থাকবে।

কম্বলকাণ্ডে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) মামলায় এবার হস্তক্ষেপ করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। সোমবার দেশের শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়েছে, আর জিতেন্দ্রকে হেফাজতে (Custody) রাখতে পারবে না পুলিশ। আর সুপ্রিম রায়ের পর স্বস্তিতে আসানসোলের (Asansol) বিজেপি নেতা (BJP Leader)। পাশাপাশি একটি নোটিশ (Norice) জারি করে রাজ্য সরকারের জবাব তলব করেছে শীর্ষ আদালত। এছাড়াও জিতেন্দ্রর পাশাপাশি আসানসোল পুরসভার দুই কাউন্সিলর গৌরব গুপ্ত (Gaurav Gupta) এবং তেজপ্রতাপ সিংয়ের (Tejpratap Singh) সম্ভাব্য গ্রেফতারির উপরেও স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, নয়ডা এক্সপ্রেসওয়ে (Noida Ecpressway) থেকে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ। সেই দাবিতেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারির আইনজীবী। সেই মামলাতেই সুপ্রিম কোর্ট সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে। আর শীর্ষ আদালতের রায়ের পর জামিনে মুক্তি পাবেন জিতেন্দ্র।

সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরীর ডিভিশন বেঞ্চে জিতেন্দ্র তিওয়ারির মামলার শুনানি হয়। আদালত সাফ জানায়, আগামী ২ সপ্তাহের জন্য জিতেন্দ্রর গ্রেফতারির উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ থাকবে। ২ সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ওই দিন মামলার সব পক্ষকে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। জিতেন্দ্রর আইনজীবী জানিয়েছেন, মূল মামলায় রাজ্যকে নোটিশ জারি করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ২ সপ্তাহ পরে ফের মামলাটির শুনানি রয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবারই যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে গ্রেফতার করে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের (Asansol Durgapur Police Commisionerete) পুলিশ। তারপরই জিতেন্দ্রকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। আসানসোল কমিশনারেটের বিশেষ দলকে দিল্লি পুলিশ জানায়, তাদের অনুমতি ছাড়া এভাবে কাউকে গ্রেফতার করা বেআইনি। তবে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ যাবতীয় কাগজপত্র দেখিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করে, তারা যা করছে, তা আদালতের নির্দেশে ও আইন মেনেই করেছে। গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে এক কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি সহ মোট ৩ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন তাঁরাই। সোমবার এই মামলায় অভিযুক্ত আর এক কাউন্সিলর গৌরব গুপ্ত ও তেজপ্রতাপ সিংয়ের গ্রেফতারির উপরেও আগাম স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।

 

 

 

Previous articleস্বরা ভাস্করকে কেন চিঠি লিখলেন মমতা! পাল্টা টুইট অভিনেত্রীরও
Next articleএপ্রিলে ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে একের পর এক জেলা সফর অভিষেকের