একাধিক মেয়ের সঙ্গে প.রকীয়া! ভিডিও চ্যাটে কুপ্রস্তাব! প্রকাশ্যে অমৃতপালের ‘রঙিন’ জীবনের সাতকাহন

পলাতক খলিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিং ।হন্যে হয়ে তাঁকে খুঁজছে পাঞ্জাব পুলিশ থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁর। তবে, খলিস্তানপন্থী নেতার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।

আরও পড়ুন:‘পাঞ্জাবের ঘরে ঘরে ড্রা*গস রয়েছে’, বি*স্ফোরক অমৃতপালের পিতা

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, নিজের ইনস্টাগ্রাম থেকে বহু অবিবাহিত মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতেন অমৃতপাল। নামহীন সম্পর্কে জড়ানোর প্রস্তাবও দিতেন তাঁদের। বাদ পড়তেন না বিবাহিতারাও।শুধু প্রেম-প্রণয় নয়, সকলের সঙ্গেই শুধুমাত্র শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হতে চাইতেন তিনি। নেটমাধ্যমে ওই মহিলাদের অশ্লীল ভিডিয়ো পাঠিয়ে ভয়ও দেখাতেন তিনি। মহিলাদের সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের কিছু অংশ এবং কয়েকটি ভয়েস নোট প্রকাশ্যে আসায় অমৃতপালের জীবনের অন্য রূপ ধরা পড়েছে।
কী বলতেন এই খলিস্তানি নেতা?

সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, তাদের হাতে অমৃতপালের এহেন ১২টি ভয়েস চ্যাট রয়েছে। একটি ‘ভয়েস নোট’-এ অমৃতপাল দাবি করেছেন যে, মহিলারা তাঁকে নিয়ে প্রচণ্ড ‘সিরিয়াস’ হয়ে পড়েন। আবার অন্য একটি ‘ভয়েস নোট’-এ তাঁকে বলতে শোনা যায়, মহিলাদের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়াতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। যত ক্ষণ না পর্যন্ত ওই মহিলার বৈবাহিক জীবনে কোনও রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এক মহিলাকে তিনি চ্যাটে লিখে জানতে চেয়েছেন যে, তাঁদের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যাবে কি না? আবার পরমুহূর্তেই মহিলাটির সঙ্গে দুবাইয়ে মধুচন্দ্রিমা কাটানোর পরিকল্পনা করতে দেখা যায় অমৃতপালকে।

বিভিন্ন মহিলাকে দুবাইয়ে নিয়ে যাওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিত অমৃতপাল। পাঞ্জাবে খালিস্তানি রাজনীতির নতুন করে মাথা তোলার ঝোঁক দেখা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে অমৃতপালের ভূমিকা গোটা রাজ্যের পুলিশকে তটস্থ করে তুলেছে। ইতিমধ্যেই অমৃতপালের নামে লুকআউট নোটিশও জারি হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, অমৃতপাল দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারে। ছদ্মবেশেও থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। সে কারণে সম্ভাব্য সাত লুকের ছবিও প্রকাশ করেছে পাঞ্জাব পুলিশ।
অমৃতপালকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ধরা না গেলেও তার রঙিন জীবনের সাতকাহন সামনে এল। যেখানে রয়েছে অনেক মেয়ে ও ভরপুর যৌনতা।

এদিকে, অমৃতপালের সংগঠন ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’-কে অর্থ সহযোগিতা কারা করছে, কোনও বিদেশি সংগঠন নেপথ্যে কাজ করছে কি না তা নিয়ে তদন্ত শুরু করতেই খলিস্তানি নেতার স্ত্রীর সন্ধান পান তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, সম্প্রতি ব্রিটিশ নাগরিক কিরণদীপ কউরকে বিয়ে করেছেন অমৃতপাল। কিরণদীপ ‘বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল (বিকেআই)’ সংগঠনেরও সদস্য ছিলেন। আর এখান থেকেই তদন্তকারীদের সন্দেহ বাড়ছে, তা হলে কি অমৃতপালের সংগঠন ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’-কে আর্থিক সহযোগিতা করছেন কিরণদীপ এবং বব্বর খালসা সংগঠন? ইতিমধ্যেই কিরণদীপের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। অমৃতপালের পরিবারের সদস্যদেরও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ সরকার যে সব সংগঠনকে জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে বব্বর খালসারও নাম রয়েছে। ব্রিটেনের এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিকেআইয়ের সদস্য কিরণদীপকে খলিস্তানের সমর্থনে একাধিক র‌্যালি এবং অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। ২০২০ সালে সন্ত্রাসের ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকা এবং বিকেআইয়ের জন্য অর্থ সংগ্রহ করার অভিযোগে কিরণদীপকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

 

 

Previous articleফেরাতে হবে মাস্ক ও কো.ভিডবিধি! মা*রণভাইরাস এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা রোধে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক মোদির
Next article‘মোদি’র পদবী নিয়ে মা*নহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত রাহুল গান্ধী, ২ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের