সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে একের পর এক তথ্য প্রকাশ্যে আসছে।ধৃত কুন্তল ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলকে জেরা করে ইডির তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, শুধুমাত্র সিনেমায় নয়, টিভি সিরিয়ালেও টাকা বিনিয়োগ করেছেন ধৃত অয়ন! এছাড়াও ইডির দাবি, বিভিন্ন প্রোডাকশন হাউসেরও আর্থিক ও বার্ষিক রিপোর্ট মিলেছে অয়নের সল্টলেকের বাড়িতে। কিন্তু প্রশ্ন, দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার জন্যেই কি সিনেমার পাশাপাশি সিরিয়ালেও বিনিয়োগ করেছিলেন ? এই সব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছেন ইডি-র গোয়েন্দারা।
ইডি দাবি করেছে, অয়ন abs infozon pvt limited নামে একটি কোম্পানি খুলেছিলেন। ২০২০ সালে ১০ সেপ্টেম্বর ‘মৌ’ নামে একটি টিভি সিরিয়ালে এই সংস্থা বিনিয়োগ করে। সেই নথিও অয়নের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে।এরই পাশাপাশি, ‘ইস্টার্ন ইন্ডিয়া motion picture অ্যাসোসিয়েশন’ এর ২০১৯-২০ বার্ষিক আর্থিক রিপোর্ট ও অ্যাকাউন্টের হিসাবের নথিও পেয়েছে ইডি। সিনে টেকনিশিয়ান ও ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট / সেক্রেটারিকে লেখা চিঠি উদ্ধার হয়েছে অয়নের ফ্ল্যাট থেকে।এমনকি, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘কাবাডি কাবাডি’ নামে যে সিনেমা তৈরি করার কথা ছিল, তার আউটডোরের জন্য পারমিশন কপি ও খরচের নথিও ইডি অয়নের ফ্ল্যাট থেকে পেয়েছে বলে দাবি করেছে।এছাড়া, ‘কাবাডি কাবাডি’ সিনেমার জন্য খরচের ড্রাফট এবং সিনেমার সারসংক্ষেপ ইডি-র হাতে এসেছে।
ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র সিনেমাতেই নয়, অয়নের প্রোডাকশন হাউস থেকে সিরিয়ালেও বিনিয়োগ করা হয়েছিল। আর এখানেই সন্দেহ গোয়েন্দাদের। একজন সামান্য প্রোমোটার থেকে রাতারাতি প্রোডাকশন হাউসের মালিক কীভাবে হয়েছিলেন অয়ন? এখনও পর্যন্ত অয়নের যে বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি, তার মধ্যে রয়েছে ফার্ম হাউস, পেট্রোল পাম্প, জমি, ফ্ল্যাট। কিন্তু, কীভাবে এত অল্প সময়ে এই বিপুল উত্থান, তার উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা।