‘মোদি’ পদবি(Modi) নিয়ে মন্তব্যের জেরে আদালতে শাস্তির পাশাপাশি সাংসদ পদ খুইয়েছেন রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। তবে এই পুরো ঘটনার পিছনে যার নাম উঠে আসছে তিনি গুজরাটের বাসিন্দা বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি(Purnesh Modi)। গুজরাটের(Gujrat) সুরাট আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন এই ব্যক্তিই। জেনে নেওয়া যাক কে এই ব্যক্তি!

গুজরাটের অত্যন্ত গরিব পরিবার থেকে উঠে আসা পূর্ণেশ মোদির পথ চলা অনেকটা নরেন্দ্র মোদির মতোই। অর্থাভাবে একটা সময় চা বিক্রি করেছেন পূর্ণেশ। কাজ করেছেন দিনমজুর হিসেবেও। এরপর লেখাপড়া শিখে একটি আইনি ফার্মে শিক্ষানবিশ হিসেবে যোগ দেন। সেখানেই আইনশিক্ষায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন। পরে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন। এবং বিজেপিতে যোগ দেন। গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার পর ধাপে ধাপে হতে থাকে পূর্ণেশের পদোন্নতি।

বিজেপিতে প্রথমে বুথ কনভেনর হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর ওয়ার্ড প্রধান এবং সুরাট পুরসভার বিজেপি কর্পরেটরের দায়িত্ব পান। আরও পরে পদোন্নতি ঘটে। স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান থেকে ২০১০ সালে বিজেপি সুরাট ইউনিটের প্রধান করা হয় পূর্ণেশকে। ২০১২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সুরাট পশ্চিমের প্রার্থী হন এবং জয়লাভ করেন। এখনও ওই অঞ্চলের বিধায়ক পদ ধরে রেখেছেন তিনি। ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যে ‘মোদি’ পদবি নিয়ে অপমানের প্রেক্ষিতে সুরাট আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করেছিলেন এই পূর্ণেশ মোদি। তাঁর মামলার জেরেই ২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর। খুইয়েছেন সাংসদ পদ।
