Wednesday, December 3, 2025

অসৎ উপায়ে পাওয়া সুজনের স্ত্রীর চাকরির বিরোধিতা করে মার খেয়েছিলেন SFI সমর্থকরাও

Date:

Share post:

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলিদেবীর কলেজে নিয়োগ যে অসৎ উপায়ে হয়েছিল সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। শুধু তৃণমূল নয়, সেই সময়কার সিপিএম নেতারাও তা স্বীকার করে দিয়েছেব। ১৯৮৭ সালে যখন মিলিদেবী চাকরি পেলেন, তখন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সিপিএমের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন সমীর পুততুন্ড। পার্টির নির্দেশ মেনে মিলি দেবীর নিয়োগের পিছনে তাঁরও হাত ছিল বলে জানিয়েছেন সমীরবাবু। বিশেষ করে মিলি চক্রবর্তীর বাবা শান্তিময় ভট্টাচার্য ছিলেন জেলার দোর্দন্ডপ্রতাপ ও প্রভাবশালী সিপিএম নেতা। তাঁর হুকুমেই কলেজ কর্তৃপক্ষ চাকরি দিতে বাধ্য হয়েছিল মিলি চক্রবর্তীকে।

সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি কেলেঙ্কারি নিয়ে এবার উঠে এলো আরও এক চাঞ্চল ওকর তথ্য। জয়শ্রী সিং নামের জনৈক মহিলার দাবি, গোটা বিষয়টি তিনি জানেন। তিনি ওই সময় সিপিএমেরই ছাত্র সংগঠন SFI-এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন। মিলি চক্রবর্তীর ঘুরপথে নিয়োগের প্রতিবাদ করেছিলেন তাঁরা। তার ফলে মারও খেতে হয়েছিল তাঁদেরই দলের ক্যাডারদের কাছে। ছাড়তে হয়েছিল SFI.

জয়শ্রী সিং-এর কথায়, “মিলি ভট্টাচার্যের অ্যান্ড্রুজ কলেজের চাকরিটা খুব সৎভাবে হয়নি। সেই ঘটনার প্রতিবাদ করে সমসাময়িক একাধিক ছাত্র ফেডারেশন সদস্য মার খেয়েছিলেন ও সংগঠন ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তার মধ্যে আমিও ছিলাম। নকশাল পন্থী বলে দেগে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি যেসব বন্ধুবান্ধবরা অন্যধারার রাজনীতিতে যুক্ত ছিল তাদেরও মারা হয়েছিল। সিপিএম কোনওদিনই সমালোচনা স্বীকার করেনি। অভ্যন্তরীণ হলেও।”

 

 

 

 

spot_img

Related articles

জেলা সফরে বহরমপুরে মুখ্যমন্ত্রী: বুধের সভার জন্য প্রস্তুত মালদহের গাজোল

মঙ্গলবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক শেষেই জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী। পৌঁছে যান মুর্শিদাবাদে বহরমপুরে। বুধবার সকালে  তিনি হেলিকপ্টারে করে উড়ে...

নিভৃতে… খাদ্যহীন! যার জন্য দেশে সূ্ত্রপাত ‘নারী আন্দোলনে’র, সেই ‘মথুরা’ই দুরবস্থায় মহারাষ্ট্রে

সেই সালটা ১৯৭২। এখন ২০২৫। মাঝে পেরিয়েছে ৫৩ বছর। এর মধ্যে তাঁকে ভুলেই গিয়েছে গোটা দেশ। হঠাৎ মনে...

বুধেই ভাগ্য নির্ধারণ! বাংলাদেশে বসে ফেরার অপেক্ষায় অন্তঃসত্ত্বা সোনালি

বাংলাদেশে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। ফলে জেলমুক্তি ঘটেছে। কিন্তু নিজের দেশে, নিজের ঘরে ফেরা কবে? আজও জানেন না বীরভূমের...

প্রশাসনিক গতি ফেরাতে যাদবপুরে দুই মাসের অস্থায়ী রেজিস্ট্রার সেলিম বক্স মন্ডল

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম দীর্ঘদিন ধরে রেজিস্ট্রার শূন্য থাকার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছিল। কর্মসমিতির বৈঠক হলেও রেজিস্ট্রার অনুপস্থিত থাকায়...