ফের চিরকুট বিতর্কে সুজন, এবার সুভাষ চক্রবর্তীর কাছে চাকরি চাওয়ার চিঠি ফাঁস

পরিবহণ দফতরে চাকরি করে দেওয়ার জন্য সেই লেটার হেডে দুটি চিরকুট লিখেছিলেন সুজনবাবু। একটি চিঠি তৎকালীন পরিবহণমন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীকে এবং অপরটি চিঠি সুভাষবাবুর সেই সময়কার কনফিডেন্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিখিল পালকে লেখা

ফের বাম জমানায় চিরকুটে চাকরি কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস। ফের নাম জড়াল সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর। তাঁর বিরুদ্ধেই চিরকুটে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রকাশ্যে এসেছে ২০০৭ সালের দুটি “চিরকুট”। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তৎকালীন সিপিএম সাংসদ সুজন চক্রবর্তী দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে সিপিএম পার্টি করে, এমন পরিবারের এক সদস্যকে চাকরি “করে দিতে হবে” বলে চিরকুট পাঠাচ্ছেন। একেবারে সাংসদের লেটার হেডে। সুজনবাবু যাদবপুরের সাংসদ ছিলেন, তখন আবার মগরাহাটের একটি অংশ যাদবপুর লোকসভার মধ্যে পড়ত।

আরও পড়ুন:সুজনের পর সুশান্তের বিরুদ্ধে চাকরি চুরির অভিযোগ, পরিবারের ২০ জনের তালিকা ফাঁস

পরিবহণ দফতরে চাকরি করে দেওয়ার জন্য সেই লেটার হেডে দুটি চিরকুট লিখেছিলেন সুজনবাবু। একটি চিঠি তৎকালীন পরিবহণমন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীকে এবং অপরটি চিঠি সুভাষবাবুর সেই সময়কার কনফিডেন্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট (CA) নিখিল পালকে লেখা।

সুজন চক্রবর্তী সুভাষ চক্রবর্তীকে লিখছেন, “কমরেড সুভাষ চক্রবর্তী, আশাকরি ভালো আছেন। পত্রবাহককে পাঠালাম। ভালো ছেলে। মগরাহাটের পার্টি পরিবারের সদস্য। পুল কারের জন্য। যদি দেখে নেন ভালো হয়। খুবই ভালো ছেলে।” নীচে সুজনবাবুর সই সহ তারিখ ০৫.০৫.০৭।

সাংসদের লেটার হেডে সুভাষবাবুর CA নিখিল পালকে লেখা সুজনের দ্বিতীয় চিরকুটটি ছিল কার্যত নির্দেশের সুর। তাতে লেখা, “কমরেড নিখিল/ সিএ টু সুভাষ চক্রবর্তী, কথামতো পত্রবাহক কমরেডকে পাঠালাম। করে দিতে হবে।” চিরকুটে সংশ্লিষ্ট কমরেডের নাম থেকে “করে দিতে হবে” পর্যন্ত লেখার নীচে আন্ডারলাইন করা। এতেও সুজনবাবুর সই সহ তারিখ ০৫.০৫.০৭।

ফাঁদে পড়ে এখন সুজন চক্রবর্তী কিছু সংবাদ মাধ্যমের কাছে স্বীকার করে নিয়েছেন চিঠি দুটি তাঁরই লেখা। পার্টি পরিবারের এই সদস্যের চাকরি যাতে খারিজ না হয়, তিনি সেটাই চেয়েছিলেন। জানা গিয়েছে সুজনবাবুর চিরকুটের পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি চাকরিও পেয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, সিপিএমের চাকরি কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস হওয়া শুরু হতে প্রবীণ বাম নেতা বিমান বসু দাবি করেছিলেন, বামফ্রন্ট আমলে।চিরকুটে চাকরি হতো না! সহযোগী সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে ওঠা অভিযোগের প্রেক্ষিতেই এহেন মন্তব্য করেছিলেন বিমানবাবু। এবার সেই সুজনবাবুর
নিজের সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে পার্টি কর্মীর চাকরি চাওয়ার চিঠি ফাঁস! কী বলবেন বিমানবাবু?

 

 

Previous articleBreakfast news: ব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleআদানি বিতর্কের মাঝেই প্রভিডেন্ট ফান্ডের বৈঠক! বাড়বে কী সুদের হার?