ফের শিরোনামে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর আজ মঙ্গলবার বিশ্বভারতীতে যাওয়ার কথা রয়েছে।তাঁর সফরের আগেই তিন অধ্যাপককে শোকজ নোটিশ ধরাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কেন এই শোকজ ? জানা গিয়েছে, অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে ‘কটু-কথা’ বলার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন বিশিষ্টজন ও অধ্যাপকদের একাংশ। সেই চিঠিতে এই তিন অধ্যাপকের স্বাক্ষর ছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই কারণেই শোকজ করা হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য, শরৎকুমার জেনা ও অধ্যাপক কৌশিক ভট্টাচার্যকে।আর এই নোটিশ ধরানোর পর থেকেই ফের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
যদিও এই শোকজ নোটিশ নিয়ে বিশ্বভারতীর তরফে কেউই এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি। বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন ভিবিউফার সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা মনে করছি, এই তিন জনের শোকজ চিঠি রাষ্ট্রপতিকে লেখা ভিবিইউএফএ-র ইমেলের প্রতিহিংসামূলক প্রতিক্রিয়া। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আমাদের স্বাক্ষরের জন্য একমাস পর সমাবর্তনের আগের দিন এভাবে শোকজের প্রয়োজন ছিল না।’
যদিও সোমবারই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অনিয়মের অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছেন অধ্যাপকদের একাংশ।বর্তমান উপচার্যের আমলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বিশ্বভারতী তাঁর গরিমা হারাচ্ছে বলেও চিঠিতে অভিযোগ করেছেন অধ্যাপকরা।তাদের আরও অভিযোগ, একের পর এক মামলার পিছনে বহু টাকা ব্যয় হচ্ছে। যার জেরে আদতে বিশ্বভারতীর সার্বিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও মনে করেন অধ্যাপকরা। রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে তুলোধান করে সোচ্চার হয়েছেন অধ্যাপকদের একাংশ।