নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়নের ১০০ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি !

নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের ১০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সম্পদের হদিশ পেল ইডি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে। নিজের স্ত্রী-পুত্র তো বটেই, একাধিক ঘনিষ্ঠের অ্যাকাউন্টে অয়ন শীল কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এমনকী ঘনিষ্ঠদের নামে প্রচুর সম্পত্তিও কিনেছেন তিনি। অয়ন ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ৫০টিরও বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেই অ্যাকাউন্টগুলির যাবতীয় লেনদেন।

ইডির দাবি, রাজ্যে ও রাজ্যের বাইরে অয়ন শীলের সম্পত্তি রয়েছে। পেট্রল পাম্প, হোটেল, বিনোদন ব্যবসায় চাকরি বিক্রির টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন তিনি। স্ত্রী-ছেলে ও ছেলের প্রেমিকার নামে তো বটেই, টাকা বিনিয়োগ করেছেন ঘনিষ্ঠদের নামেও। এব্যাপারে কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার শ্বেতা চক্রবর্তীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। সঙ্গে শমীক চৌধুরী নামে এক জীবন বিমা এজেন্টও রয়েছেন আতশকাচের তলায়।

গত ১৮ মার্চ হুগলির যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলাগড়ের ঠিকানায় তল্লাশির সময় অয়ন শীলের সন্ধান পায় ইডি। প্রথমে তাঁকে চুঁচুড়ায় জেরা শুরু করেন গোয়েন্দারা। জানতে পারেন অয়নের বিধাননগরের ঠিকানা। ওই দিন বিকেল থেকে টানা ৩৭ ঘণ্টা অয়নের বিধাননগরের ঠিকানায় তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। এর পর ২০ মার্চ কাকভোরে অয়নকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান তাঁরা। অয়নের বিধাননগরের দফতরে তল্লাশি চালিয়ে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন স্কুলের চাকরি বিক্রির পাশাপাশি রাজ্যের অন্তত ৬০টি পুরসভায় চাকরি বিক্রিতে যুক্ত ছিলেন তিনি। এমনকী ছেলে ও তাঁর প্রেমিকার নামে কিনেছিলেন পেট্রল পাম্প।বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন অয়ন। শনিবার ফের তাকে আদালতে হাজির করানো হবে।সেদিন আদালতে অয়নের ১০০ কোটি সম্পত্তির কথা জানাবে ইডি।

 

 

Previous articleজিডি বিড়লা কাণ্ডে দুই শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারা*দণ্ড
Next articleপ্রযুক্তিগত সমস্যার জের! ফের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল তিহার ব.ন্দি কেষ্টর