মালদহে সংঘাতে জাতীয় ও রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন, রাজ্যপালের দারস্থ হচ্ছেন সুদেষ্ণা

তিলজলার(Tiljala) ঘটনা পর এবার মালদার গাজোলে ফের সংঘাতে জড়ালো কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন ও রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। এদিন মালদায় রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়ের(Sudeshna Roy) সঙ্গে তর্কাতর্কিতেও জড়িয়ে পড়েন NCPCR চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো(priyank kanungo)। তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন সুদেষ্ণা। এই অভিযোগে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানিয়েছেন সুদেষ্ণা রায়। সব মিলিয়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একবার উত্তাল হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি।

শনিবার সকালে মালদহের গাজোলে গণধর্ষণের শিকার হওয়া ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের। সেই অনুযায়ী এদিন সকালে NCPCR-এর চেয়ারম্যান ওই এলাকায় পৌঁছন। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যান। তবে তার আগেই এদিন কাক ভোরে নির্যাতিতার বাড়িতে পৌঁছে যান রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায়। নির্যাতিতার বাড়িতে সুদেষ্ণাকে দেখে বিরক্ত হন প্রিয়াঙ্ক। সুদেষ্ণার অভিযোগ, তাঁকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন NCPCR-এর চেয়ারম্যান। যদিও নিয়মানুযায়ী তাঁকে বেরিয়ে যেতে বলার অধিকার প্রিয়াঙ্কের বলেই জানান তিনি। কোনও চক্রান্তের কারণেই প্রিয়াঙ্ক তাঁর সামনে নির্যাতিতা কিংবা তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে চান না বলেও দাবি সুদেষ্ণার। সবমিলিয়ে নির্যাতিতার বাড়ি যাওয়া নিয়ে পরস্পর বিবাদে জড়িয়ে পড়েন জাতীয় ও রাজ্য কমিশনের সদস্যরা। তাঁদের মধ্যে তীক্ষ্ণ বাদানুবাদ হয়।

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুদেষ্ণা বলেন, ‘রাজ্য ও জাতীয় দুই শিশু সুরক্ষা কমিশন দু’‌জনেরই একই এক্তিয়ার আছে। ওঁরা কখনই আমাদের জানিয়ে আসেন না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট বলেছে সমন্বয় সাধন করে কাজ করতে হবে। তাই আমি গিয়েছিলাম। উনি লাফিয়ে উঠে বলেন, গেট আউট। আঙুল তুলে তেড়ে আসেন আমার দিকে। এই চিৎকারবাইরে থেকে সবাই শুনেছেন।’ এমনকী দশদিন পরে কেন গাজোলে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন এলেন?‌ সে প্রশ্ন করেন প্রিয়ঙ্ক। সুদেষ্ণার অভিযোগ, নির্যাতিতার বাড়ি থেকে তাঁকে বেরিয়ে যেতে বলেন প্রিয়ঙ্ক।

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার তিলজলা নাবালিকা খুন কাণ্ডে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা ও হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন এনসিপিসিআর প্রধান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। প্রসঙ্গত, তিলজলায় নাবালিকা খুন কাণ্ডের পর পরিস্থিতি ও তদন্তে অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে গতকাল, শুক্রবার কলকাতায় এসেছিল জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের(এনসিপিসিআর) একটি দল। সেই দলে ছিলেন কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো ও রুপালি বন্দ্যোপাধ্যায় সিং। কিন্তু ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় তাঁকে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন এনসিপিসিআর-এর চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। তাঁর অভিযোগ, বডি ক্যামেরায় কমিশনের কার্যকলাপ রেকর্ড করা হচ্ছিল। তাতে বাধা দেওয়ায় তাঁকে হেনস্থা করা হয়। এক পুলিশ কর্মী জোর করে তাঁর হাত থেকে ক্যামেরাটি কেড়ে নেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রিয়াঙ্ক বাবু। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Previous articleঅঙ্কুশের ‘ভাত কাপড়ের’ দায়িত্বে ঐন্দ্রিলা ? জন্মদিনে এ কী কাণ্ড !
Next articleআরসিবির অনুশীলনে সুনীল, বিরাটদের সঙ্গে ডাইভিং ক্যাচ অনুশীলন ভারত অধিনায়কের