কলেজে ফেল করা শতরূপের জন্ম তারিখেও কারচুপি

টুম্পা সোনাদের এই রত্নের আরও অনেক অপগুণ আছে। একাধিক জন্ম তারিখ ব্যবহার করেন শতরূপ।সোশ্যাল মিডিয়ার নজর কাড়ার জন্য একটি বিশেষ দিনকে জন্ম তারিখ হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

চালুনি ধরে সূচের দোষ। বলে তুই কেন ফুটো! রোজ সন্ধ্যায় টেলিভশন চ্যানেলে বসে বিরোধীদের বাপবাপান্ত করে নীতি-শিক্ষা দেওয়া সর্বহারার বাইশ লাখি বকাটে নেতা শতরূপের (Shatarup Ghosh) একের পর কু-কীর্তি ফাঁস। চিরকুটে চাকরি দেওয়া পূর্বসূরিদের থেকে মিথ্যা, কুৎসা, অপপ্রচার ভালোই রপ্ত করেছে কসবা থেকে হারের হ্যাট্রিক করা সিপিএমের (CPM) চারআনার নেতা।

রাজনৈতিক যুক্তি ও সৌজন্যের ধারকাছ দিয়ে না হাঁটা শুধুমাত্র মানুষকে অসম্মান করতে সাজুগুজু করে টিভি চ্যানেলে বসে পড়েন শতরূপ। সত্যি যথার্থ তার নাম। তার যে কতরূপ, এবার তা ধারাবাহিক প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। কাঁচের ঘরে বসে ঢিল ছুঁড়লে যা হওয়ার তাই হয়েছে। কথায় কথায় প্রতিপক্ষকে অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত বলা শতরূপ নিজেই গ্রাজুয়েশনে (Graduation) ফেল করেছিলেন।

কলকাতার আশুতোষ কলেজে (Ashutosh College) ২০০৫ সালে অর্থনীতিতে অনার্স নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন শতরূপ ঘোষ। কিন্তু নির্ধারিত বছরে পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি সে। পরে অবশ্য আশুতোষ কলেজ থেকেই কষ্টার্জিত পাস করেন টুম্পা সোনাদের নেতা। অন্যদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই সময় তার অনেক সহপাঠী জানিয়েছেন, স্কুল লাইফেও নাকি “ফেলুবাবু” ছিল শতরূপ। অভিভাবক ডেকে সংশ্লিষ্ট স্কুল একবার নাকি তাকে তাড়িয়ে দিচ্ছিল বলেও শোনা যায়। যদিও এমন ঘটনার সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ববাংলা সংবাদ।

শুধু নয়, টুম্পা সোনাদের এই রত্নের আরও অনেক অপগুণ আছে। একাধিক জন্ম তারিখ ব্যবহার করেন শতরূপ।সোশ্যাল মিডিয়ার নজর কাড়ার জন্য একটি বিশেষ দিনকে জন্ম তারিখ হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এখানেও সেই “২২”-এর গেরো। সোশ্যাল মিডিয়ায় শতরূপ তাঁর জন্মদিন ১৯৮৬ সালের ২২ এপ্রিল বলে উল্লেখ করেছেন। ঘটনাচক্রে, সেদিন লেনিনেরও জন্মদিন। স্বাভাবিক ভাবেই তা কমিউনিস্টদের (Communist) কাছে অত্যন্ত স্মরণীয় দিন। ফলে নিজের জন্মদিনে বিস্তর শুভেচ্ছাও আদায় করে নিয়েছিলেন শতরূপ।

সিপিএমের-ই একটি অংশ থেকে শতরূপের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ পত্রে জানানো হয়েছে, ২০১১ সালের ২৭ এপ্রিল ছিল কলকাতায় বিধানসভা ভোট। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৯ এপ্রিল। তাতেই প্রশ্ন উঠছে, যদি শতরূপের জন্মদিন ২২ এপ্রিলই হবে, তা হলে মনোনয়নের সময় ২৫ বছর বয়স না-হওয়ায় নির্বাচন কমিশনেরই তাঁর প্রার্থীপদ খারিজ করে দেওয়ার কথা! তা যখন হয়নি, তার মানে কমিশনকে অন্য তথ্য দেওয়া হয়েছিল। এবং তার মানে, ২২ এপ্রিল তাঁর জন্মদিন নয়। ওই আর্টিক্যালে আরও লেখা, সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব খোঁজখবর নিয়ে দেখেছেন, শতরূপের জন্মদিন আসলে ২২ মার্চ। সার্টিফিকেটেও তেমনই আছে, কমিশনের কাছে হলফনামাতেও তা-ই।

শতরূপের এমন কাণ্ড কারখানা নিয়ে খোঁচা মারতে ছাড়েনি তৃণমূলের ছাত্রযুবরা। তৃণমূল (TMC) ছাত্রনেতা সুদীপ রাহা যেমন কটাক্ষের সুরে বলছেন, “বার্থ সার্টিফিকেট খুঁজছে? এবার মার্কশিট গুলো খুঁজতে আরম্ভ করো। শুনছি, তোমার একটা ফেলু-রূপও আছে!” স্নাতকস্তরে সর্বহারাদের এই কচি নেতা নির্ধারিত বছরে যে পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি, সেটা অবশ্য সংবাদ মাধ্যমে স্বীকার করে নিয়েছেন।

 

 

 

Previous articleকানাইপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃ*ত্যুর ৯ মাস পরে পুনর্তদ*ন্তের নির্দেশ
Next articleভোট বড় বালাই, স্বল্প সঞ্চয়ের সুদ বৃদ্ধি কেন্দ্রের, অপরিবর্তিত পিপিএফের হার