ফেডারেশনের বিবৃতি, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইল কেরালা ব্লাস্টার্স

সেইখানে বলা হয়, ম‍্যাচ ছেড়ে বেড়িয়ে যাওয়ার জন্য কেরাল ব্লাস্টার্স কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং সেইসঙ্গে তাদের চার কোটি টাকা জরিমান করা হয়। নচেৎ, জরিমানার পরিমাণ বেড়ে হবে ১০ কোটি টাকা।

প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইল কেরালা ব্লাস্টার্স। সেইসঙ্গে ক্ষমা চাইলেন কোচ ইভান ভুকোমানোভিচও। আইএসএল প্লে অফের ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে প্লে-অফের ম্যাচে, রেফারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করে মাঠ ছাড়ে কেরালা। আর এবার সেই ঘটনার জন্যই জনসমক্ষে ক্ষমা চাইল কেরালা ব্লাস্টার্স কর্তৃপক্ষ।

বৈভব গজ্ঞরের নেতৃত্বে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি কেরালা-বিএফসি ম‍্যাচের বিষয়টির তদন্ত শুরু করে। শুক্রবার ফেডারেশনের তরফে জারি করা হয় বিবৃতি এবং কঠিন শাস্তির মুখে পড়েন ব্লাস্টার্সরা। সেইখানে বলা হয়, ম‍্যাচ ছেড়ে বেড়িয়ে যাওয়ার জন্য কেরাল ব্লাস্টার্স কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং সেইসঙ্গে তাদের চার কোটি টাকা জরিমান করা হয়। নচেৎ, জরিমানার পরিমাণ বেড়ে হবে ১০ কোটি টাকা।

শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির ৯.১.২ ধারা অনুযায়ী, ফেডারেশন পরিচালিত কোনো টুর্নামেন্টের টানা দশটি ম্যাচে নির্বাসিত করা হয় কেরালার হেডস্যার ভুকোমানোভিচকে। সেইসঙ্গে তাঁকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়। অন্যদিকে ৯.১.৬ ধারা অনুযায়ী, তিনি কোনোভাবেই দলের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না এবং ড্রেসিংরুম কিংবা ডাগআউটেও যেতে পারবেন না। সর্বোপরি তাঁকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। নাহলে এই জরিমানার পরিমাণ বেড়ে হবে ১০ লক্ষ টাকা। ফেডারেশনের বিবৃতি অনুযায়ী, তাদেরকে এই নির্দেশ এক সপ্তাহের মধ্যে পালন করতে বলা হয়। যদিও কর্তৃপক্ষ চাইলে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারত।

কিন্তু সেই পথে হাঁটলো না ব্লাস্টার্সরা। আজ সকালেই তাদের সোশ্যাল মিডিয়া একটি বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চাইনেল কেরালা ব্লাস্টার্স কর্তৃপক্ষ। বিবৃতিতে বলা হয়, বিষয়টি খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং সেই সময়ে উত্তেজনার ফলেই এইরকম ঘটনা ঘটে। ফুটবলের স্বার্থে তারা সবাইকে আশ্বস্ত করেন। ভবিষ্যতে যাতে এইরকম ঘটনা আর না ঘটে, তার জন্য তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

গত ৩ মার্চ, আইএসএল প্লে-অফের ফিরতি ম্যাচে মুখোমুখি হয় কেরালা ব্লাস্টার্স বনাম বেঙ্গালুরু এফসি । গোটা ম্যাচ গোলশূন্য থাকলেও, ম্যাচের ৯৭ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে গোল পান বেঙ্গালুরু অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী । কিন্তু এই ফ্রিকিক নিয়েই যত গোলমাল। প্রসঙ্গত, খুব দ্রুত এই ফ্রিকিকটি নেন সুনীল। কেরালা দলের দাবি ছিল, রেফারির বাঁশি বাজার আগেই কীভাবে সুনীল শট নিলেন? ফুটবলাররা তৈরি হওয়ার আগেই হঠাৎ গোল। আর এই জন্যই প্রতিবাদ শুরু করেন কেরালা ব্লাস্টার্স ফুটবলার, সাপোর্ট স্টাফ এবং কোচ ইভান ভুকোমানোভিচ নিজেও। তাঁরই নেতৃত্বে পুরো দল নিয়ে মাঠ ছেড়ে চলে যায় কেরালা ব্লাস্টার্স। আর এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক।

আরও পড়ুন:দেশে ফিরে গেলেন উইলিয়ামসন, সেখানেই করাবেন চোটের চিকিৎসা

 

 

Previous articleআর নিদ্রাহীন রাত কাটানো নয়, অভিনব উপায় মহানগরেই
Next articleপদ বাঁচাতেই অ.শান্তি! রিষড়ায় সুকান্তর ‘কর্মসূচি’কে কটাক্ষ কুণালের