পদ বাঁচাতেই অ.শান্তি! রিষড়ায় সুকান্তর ‘কর্মসূচি’কে কটাক্ষ কুণালের

কুণাল প্রশ্ন তোলেন রাম কী বিজেপির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর নাকি বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি? তাহলে রামকে এভাবে রাস্তায় নামাচ্ছেন কেন? রাজ্যে দুর্গাপুজো, ঈদ, বড়দিন, শিখ ধর্মের এতবড় অনুষ্ঠান হয় সেখানে কোনও গণ্ডগোল হয় না। আর বিজেপি নেতারা যেখানে রামের নামে ঢুকছেন সেখানে গণ্ডগোল হচ্ছে কেন?

শিবপুর (Shibpur) বা রিষড়া (Rishra) পুরোপুরি পরিকল্পিত চক্রান্তের ফল। এর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বিজেপির নেতা নেত্রীরা সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রিষড়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। এদিন কুণাল মনে করিয়ে দেন, যেভাবেই হোক কেন্দ্রের প্ল্যানমাফিক রাজ্যে একটা নেতিবাচক পরিস্থিতির চেষ্টা করতে চাইছেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। বর্তমানে যখন রমজান মাস চলছে আর সেখানেই ইচ্ছে করে অশান্তি, দাঙ্গা বাধানোর উদ্দেশে রাজ্যের একাধিক জায়গায় রামনবমী (Ramnavami) পালন করা হচ্ছে। কিন্তু বিজেপি যেসমস্ত জায়গায় রামনবমী পালনের দায়িত্ব নিয়েছে সেই জায়গাগুলিতেই অশান্তির ছবি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বিজেপি নেতারা পরিকল্পনামাফিক ইফতারের আগে ইচ্ছে করেই রামনবমীর নামে অশান্তির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ কুণালের।

তবে সোমবার পুলিশ পরিস্থিতি আয়ত্তে নিয়ে এলেও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) ১৪৪ ধারা জারি হওয়া সত্ত্বেও ঘটনাস্থলে যেতে চান। আর পুলিশ তাঁকে যেতে বাধা দিলেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় পরিস্থিতি। পরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে রাস্তায় বসে দিনভর চূড়ান্ত নাটক দেখাতে শুরু করেন সুকান্ত। আর সেই প্রসঙ্গে কুণালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রাজ্যের শাসক দল যেখানে অশান্তি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন উল্টে সুকান্ত মজুমদার সেই অশান্তিতেই প্ররোচনা দিচ্ছেন। কুণালের অভিযোগ, হয়তো অশান্তি করতে না পারলে সভাপতির পদ চলে যেতে পারে সুকান্তর। সেই কারণেই উনি এমন করছেন। এরপরই কুণালের প্রশ্ন রিষড়ায় কীভাবে রবিবার রামনবমী হতে পারে? রামনবমীর এত পরে মিছিলকে এদিন ‘রসিকতা’ বলে কটাক্ষ করেন কুণাল।

এরপরই কুণাল প্রশ্ন তোলেন রাম কী বিজেপির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর (Brand Ambasador) নাকি বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি? তাহলে রামকে এভাবে রাস্তায় নামাচ্ছেন কেন? রাজ্যে দুর্গাপুজো, ঈদ, বড়দিন, শিখ ধর্মের এতবড় অনুষ্ঠান হয় সেখানে কোনও গণ্ডগোল হয় না। আর বিজেপি নেতারা যেখানে রামের নামে ঢুকছেন সেখানে গণ্ডগোল হচ্ছে কেন? এরপর কুণাল জানান, বিজেপি বর্তমানে জনবিচ্ছিন্ন, মানুষ যে তাঁদের প্রত্যাখ্যান করছেন এই গোটা জিনিসগুলি থেকে বিজেপি নজর ঘোরানোর জন্য ধর্মীয় মেরুকরণ করে এমন গোলমালের চেষ্টা করছে।

তবে এদিন শুধু সুকান্তই নন, দিলীপ ঘোষকেও (Dilip Ghosh) কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কুণাল। তিনি সাফ জানান, দিলীপবাবু পিছিয়ে পড়েছিলেন। শিবপুরের ঘটনার দিন উনি ছিলেন না আর সেকারণেই অশান্তি পাকানোর কারণে রবিবার উনি রিষড়ায় গিয়েছিলেন।

 

 

Previous articleফেডারেশনের বিবৃতি, প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইল কেরালা ব্লাস্টার্স
Next articleদেবশ্রীকে বলতেই দিলেন না লকেট, বিজেপির সাংবাদিক বৈঠকে দুই সাংসদের মধ্যে তুমুল অ.শান্তি