শক্তিগড় শ্যুট*আউটে গাড়ি চালকের বয়ানই তুরুপের তাস তদন্তকারীদের

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতেও ঘটনাস্থলে লতিফের উপস্থিতির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল৷

শক্তিগড়ে শ্যুটআউটকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। যে গাড়ি করে নিহত রাজু ঝা কলকাতা আসছিলেন, সেই গাড়ির চালক পুলিশের কাছে যে এফআইআর করেছেন, তাতেই ঘটনার দিন লতিফের উপস্থিতির কথা জানিয়েছেন তিনি৷শনিবার শক্তিগড়ে শ্যুটআউটের সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ৷প্রাথমিক তদন্তেই পুলিশ জানতে পেরেছিল, আব্দুল লতিফের গাড়ি করেই সেদিন কলকাতায় আসছিলেন শক্তিগড় শ্যুটআউটে নিহত বিজেপি নেতা ও কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা৷সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতেও ঘটনাস্থলে লতিফের উপস্থিতির ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল৷আব্দুল লতিফের খোঁজ শুরু সিবিআইয়ের। লতিফের খোঁজে পুলিশের সঙ্গে কথা বলবে সিবিআই। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও চেয়েছে সিবিআই।

গত শনিবার শক্তিগড়ে জাতীয় সড়কের ধারে গাড়ির ভিতরে গুলি করে খুন করা হয় কয়লা মাফিয়া রাজু ঝাকে৷ ঘটনার পরই গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত আব্দুল লতিফের যোগসূত্র পায় পুলিশ৷ যদিও ঘটনার পরই উধাও হয়ে যান লতিফ৷ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার৷ যদিও এখনও দুষ্কৃতীদের ধরতে পারেনি পুলিশ৷

কী জানিয়েছেন গাড়ির চালক ? পুলিশকে দেওয়া বয়ানে আব্দুল লতিফের গাড়ির চালক নূর হুসেন জানিয়েছেন, ঘটনার দিন প্রথমে বীরভূমের ইলামবাজারের বাড়ি থেকে দুর্গাপুরে আসেন আব্দুল লতিফ৷ সেখানে প্রথমে ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ওঠেন গাড়িতে৷ এর পর একটি হোটেলে পৌঁছন দু’ জনে৷ সেখানে অপেক্ষা করছিলেন রাজু ঝা৷ সন্ধের পর ওই হোটেল থেকে রাজু ঝা এবং তাঁর সঙ্গী ব্রতীন মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে কলকাতার দিকে রওনা দেন আব্দুল লতিফ৷ এর পর শক্তিগড়ে পৌঁছে রাজু ঝা-ই গাড়ি থামাতে বলেন৷ আব্দুল লতিফ নেমে ঝালমুড়ি কিনতে যান৷ ব্রতীন মুখোপাধ্যায় তাঁকে পান মশলা আনতে বলেন।চালক গাড়ি থেকে নামার পরই হামলা চালায় আততায়ীরা৷ গুলি লাগে চালকের পাশের আসনে বসে থাকা রাজু ঝা এবং পিছনের আসনে থাকা তাঁর সহযোগী ব্রতীন মুখোপাধ্যায়ের শরীরে৷গাড়ির চালকের বয়ান জানার পর, পুরো ঘটনায় আব্দুল লতিফের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে সংশয় তৈরি হয়েছে৷ লতিফের গতিবিধি জানার চেষ্টা করছে সিবিআই-ও৷ রাজু ঝা খুনে অভিযুক্তরা এখনও ধরা পরেনি।যদিও যে গাড়িটি করে তারা এসেছিল সেটি শক্তিগড় এলাকা থেকেই উদ্ধার হয়েছে৷

গাড়ির চালকের বয়ানের পর বেশ কয়েকটি প্রশ্ন সামনে এসেছে। প্রথমত,  কেন গাড়ি থেকে নেমে পড়লেন ব্রতীন এবং আবদুল লতিফ? তারপর কোথায় গেলেন তাঁরা? তাহলে কি পুরোটাই সাজানো? সব মিলিয়ে রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডে গাড়ির চালকের লিখিত বয়ান তদন্তে নয়া মোড় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

 

 

Previous articleদেশে ফিরে গেলেন উইলিয়ামসন, সেখানেই করাবেন চোটের চিকিৎসা
Next articleদা.ঙ্গা করেছে বিজেপি: মমতা, পাওয়ারের পর এবার সরব খাড়গেও