Wednesday, December 17, 2025

কোনও দুর্নীতি নেই, কিছু পেন্ডিং নেই: প্রাপ্য টাকা না দেওয়ায় কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ মমতার

Date:

Share post:

কেন্দ্রের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে কাজের হিসেব না দেওয়ায় ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা ও সড়ক যজনার টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে। তবে বিজেপি(BJP) তথা কেন্দ্রের এই অভিযোগকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সোমবার খেজুরির(Khejuri) সরকারি সভা থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন কোনও দুর্নীতি হয়নি, কোনও কিছু পেন্ডিংও নেই তাও অন্যায় ভাবে গরিব মানুষের টাকা আটকেছে এই পাপিষ্ঠ কেন্দ্রীয় সরকার(Central Govt)।

সোমবার খেজুরিতে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাজ্যের টাকা আটকে দেওয়ায় কেন্দ্রকে কড়া সুরে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “এই কেন্দ্রীয় সরকার পাপিষ্ঠ। ১০০ দিনের কাজে ১৭ লক্ষ গরিব মানুষের টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে। গরিব মানুষগুলো হাড়ভাঙা খাটুনি খেটেছে তাদের টাকা আটকে দিয়েছে এই বেইমান, লুটেরা, দাঙ্গাবাজরা। শুধু ১০০ দিনের কাজ নয়, আপনাদের বাড়ির টাকা, রাস্তা করার টাকাও ওরা বন্ধ করে দিয়েছে।” এরপরই কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে মমতা বলেন, “১২০০০ কিমি রাস্তা করছি। এটা রাজ্য সরকারের টাকা, ওখানে ১০০ দিনের কর্মীরা কাজ করবে। দিল্লি আমায় ভাতে মারার চেষ্টা করলেও আমরা পান্তাভাত খেয়ে থাকব কিন্তু মাথা নত করব না। ওরা বলছে, আমরা নাকি টাকা চুরি করেছি, কাজের হিসেব দেইনি তাই টাকা বন্ধ করেছি। আমি চ্যালেঞ্জ করছি, কোনও দুর্নীতি নেই, কোনও হিসেব পেন্ডিং নেই। অন্যায় ভাবে টাকা আটকে রেখেছে। কেন টাকা দাওনি জবাব দাও।” এর পরই কেন্দ্রীয় দলকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই কয়েকমাসে শতাধিক কেন্দ্রীয় দল এসেছে। এখানে খেয়েছে, বিজেপির সঙ্গে মিটিং করেছে, দাঙ্গা লাগিয়েছে, বাড়ি চলে গেছে।” একইসঙ্গে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১০০ দিনের কাজে অন্তত ৫০ দিন কাজ পায় সেই ব্যবস্থা রাজ্যসরকার করবে।”

এদিনের সভা থেকে নন্দীগ্রামের অতীত ইতিহাস তুলে ধরে মমতা বলেন, “একসময় খেজুরিতে ঢোকা যেত না। সিপিএম-এর অত্যাচারে মানুষ অত্যাচারিত ছিল। আমার একজন ছাত্রী বন্ধুকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলা হয়েছিল। এরপর তাঁর বাবার নামে দোষ দেওয়া হয়েছিল। সিপিএম গুলো এখন বিজেপি হয়েছে।” নাম না করে এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামে সূর্যোদয়ের নামে দশদিন কাউকে বেরতে দেওয়া হয়নি। ১৪ মার্চ যখন গুলিতে মারা গিয়েছিল, সেই সময় খেজুরি দিয়ে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হত না। সেই সময় গদ্দাররা মাঠে ছিল না। লুকিয়ে বসেছিল। আমি সেই সময় ২৬ দিন অনশন করেছিলাম। ১৪ মার্চের গুলিকাণ্ডের পর আমি ছুটে এসেছিলাম। চণ্ডীপুরে আমার গাড়ি আটকে পেট্রল বোমা মারতে গিয়েছিল। কোলাঘাটে আমার গাড়িতে মদের বোতল ছোড়া হয়েছিল। আমার উপর অনেক অত্যাচার হয়েছে। আমি যত দিন বাঁচব আমার আন্দোলন কেউ রুখতে পারবে না।”

spot_img

Related articles

ভারত- পাক সীমান্তে অনুপ্রবেশ কেন, বাংলা – বাংলাদেশ সীমান্তের কথা উঠতেই কেন্দ্রকে প্রশ্ন তৃণমূলের

সংসদের চলতি অধিবেশনে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের প্রসঙ্গে বাংলার তৃণমূল সরকারের (TMC Govt)দিকে দায় ঠেলতেই ভারত-পাক সীমান্ত নিয়ে কেন্দ্রের...

পাহাড়ে নিয়োগ মামলায় চাকরি বাতিল ৩১৩ শিক্ষকের

পাহাড়ে নিয়োগ মামলায় চাকরি হারালেন ৩১৩ জন শিক্ষক। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে...

যুবভারতীতে ভাঙচুরের ঘটনা: গ্রেফতার আরও এক হামলাকারী

লিওনেল মেসির যুবভারতীর কনসার্টে যে তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে শনিবার, তার জেরে রাজ্য প্রশাসন ইতিমধ্যেই একাধিক বড় পদক্ষেপ নিয়েছে।...

যুবভারতী স্টেডিয়ামে SIT, শামিমরা ঘুরে দেখলেন ঘটনাস্থল

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করল যুবভারতী স্টেডিয়ামে বিশৃঙ্খলার তদন্তে গড়া চার সদস্যের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT)। মঙ্গলবারই রাজ্য পুলিশের (State...