নববর্ষে রাজ্যবাসীকে ‘শুভনন্দন’ মুখ্যমন্ত্রীর, দিঘা প্রেস ক্লাবের উদ্বোধন

বুধবার, দিঘায় প্রেস ক্লাবের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আপনাদের সবাইকে নববৈশাখের শুভনন্দন জানাচ্ছি। এমনিতে সকলে বলেন শুভেচ্ছা বা অভিনন্দন। কিন্তু নতুন শব্দ তো আনতে হবে। তাই শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন মিলিয়ে বললাম, শুভনন্দন।”

বরাবরই বাংলায় অভিনব নামকরণ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে নতুন শব্দ সংযোজন করলেন তিনি। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন মিলিয়ে তিনি বললেন, ‘শুভনন্দন’। বুধবার, দিঘায় প্রেস ক্লাবের (Press Club) উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আপনাদের সবাইকে নববৈশাখের শুভনন্দন জানাচ্ছি। এমনিতে সকলে বলেন শুভেচ্ছা বা অভিনন্দন। কিন্তু নতুন শব্দ তো আনতে হবে। তাই শুভেচ্ছা আর অভিনন্দন মিলিয়ে বললাম, শুভনন্দন।” মমতার কথায়, ”শুভ কামনা, অভিনন্দন হলে, শুভনন্দন কেন হতে পারে না? শুভেচ্ছা এবং নন্দন দুটোই আছে। নান্দনিক বলতে পারেন।”

রাজনীতির পাশাপাশি সাহিত্য রচনাতেও দক্ষ মমতা। শতাধিক বই লিখেছেন তিনি। বাংলা ছাড়াও অন্যান্য ভাষাতেও বই রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। ‘কন্যাশ্রী’, ‘রূপশ্রী’, ‘চোখের আলো’র মতো রাজ্যের নানা প্রকল্পের নামও দিয়েছেন তিনি। ‘ভোরের আলো’, ‘উত্তীর্ণ’, ‘উত্তরকন্যা’র মতো সচিবালয়ের নামও মুখ্যমন্ত্রীরই দেওয়া। এবার বাংলা অভিধানেও নতুন শব্দ সংযোজন করলেন তিনি।

পূর্ব মেদিনীপুর সফরের শেষ দিনে দিঘায় প্রেস ক্লাবের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে নবনির্মিত প্রেস ক্লাবের প্রশংসা করেন তিনি। তাঁর কথায়, কলকাতার প্রেস ক্লাবও এত সুন্দর নয়। সাংবাদিকদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ”মিডিয়া হলেও আপনারা সরকারের একটা অংশ। আমাদের বৃহত্তর পরিবার।” জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাংবাদিকদের মধ্যে সমন্বয় রাখার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকরা যেসব খবর পান তা প্রশাসনকে জানানোর বার্তাও দেন তিনি।

 

 

Previous articleGood Friday-তে কমবে ১০০ মেট্রো, যাত্রী ভোগান্তির আশ*ঙ্কা!
Next articleভুটানের রাজার সঙ্গে বৈঠক মোদির, উঠল চিন ও ডোকলাম প্রসঙ্গ