পাওনা না দিলে ব*ঞ্চিতদের নিয়ে দিল্লিতে আ*ন্দোলন: মন্ত্রককে সময় বেঁধে দিলেন অভিষেক

অভিষেক বলেন, সারা দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাকেই ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। অথচ অসম, উত্তরপ্রদেশে-সহ বিভিন্ন রাজ্যে প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ থাকলেও তারা টাকা পেয়েছে। কিন্তু কোনও অভিযোগ না থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের টাকা আটকানো হয়েছে।

অভিযোগ থাকলে তদন্ত করুন। চাইলে সিবিআই হোক। আদালতে যাক কেন্দ্র। কিন্তু সাধারণ মানুষের টাকা আটকে রাখা যাবে না। বুধবার, কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতরাজ মন্ত্রকের সচিবের সঙ্গে দেখা করে এই দাবি জানালেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Bandyopadhyay)। না হলে, ১০০দিনের কাজের বঞ্চিতদের দিল্লি নিয়ে গিয়ে আন্দোলন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক। এই জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রনালয়কে সময়সীমাও বেঁধে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এদিন, ২৫জন সাংসদকে সঙ্গে নিয়ে মন্ত্রকে যান অভিষেক। আগে থেকে সময় নেওয়া থাকলেও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতরাজ মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের (Giriraj Singh) বা প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি কেউই মন্ত্রকে ছিলেন না। তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে দেখা করেন মন্ত্রকের সচিব। এই বিষয়টি নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, বাংলার বকেয়া কেন দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে কোনও জবাব না থাকাতেই তাঁদের সামনে আসতে চাইছেন গিরিরাজ।

অভিষেক বলেন, সারা দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাকেই ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। অথচ অসম, উত্তরপ্রদেশে-সহ বিভিন্ন রাজ্যে প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ থাকলেও তারা টাকা পেয়েছে। কিন্তু কোনও অভিযোগ না থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের টাকা আটকানো হয়েছে। কেন এই দ্বিচারিতা! ১০-১৫ দিনের মধ্যে তার জবাব দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বকেয়া না দিলে বাংলার যাঁরা ১০০দিনের কাজ করেও টাকা পাননি তাঁদের দিল্লি নিয়ে গিয়ে আন্দোলনে সামিল করবেন বলে হুঙ্কার দেন অভিষেক।

একই সঙ্গে অভিষেক জানান, প্রয়োজনে একদিন আগে জানালেও ২৫জন সাংসদ আবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসবে। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী, গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীরাও দিল্লি আসতে পারেন। কিন্তু কেন্দ্রকে বাংলার বকেয়া টাকা দিতেই হবে। অভিষেকের কথায়, কেন্দ্র বাংলার বিরুদ্ধে বারবার প্রকল্পের দুর্নীতির নিয়ে অভিযোগ তুলছে। কিন্তু এত প্রতিনিধি দল পাঠিয়েও কোনও অভিযোগ পায়নি। অথচ যেসব রাজ্যে অভিযোগ প্রমাণিত, বিজেপি শাসিত সেইসব রাজ্য অসম, উত্তরপ্রদেশ তাদের বকেয়া পাচ্ছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলেন তৃণমূল সাংসদ।

নিয়ম মেনে সময় নিয়েই সঙ্গে দেখা করতে যান সঙ্গে তৃণমূলের লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদরা। রাজ্যের বকেয়া আদায়ের দাবি নিয়েই এই অভিযান। কিন্তু কেন বঞ্চিত বাংলা- তার উত্তর না থাকাতেই মন্ত্রক এড়ালেন গিরিরাজ! এমনকী, আসেননি প্রতিমন্ত্রী ও। তবে, মন্ত্রকের সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অভিষেকরা। সঙ্গে ছিলেন লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, লোকসভার সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অপরূপা পোদ্দার, শতাব্দী রায়, মহুয়া মৈত্র, মালা রায়, রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার, দোলা সেন, শান্তনু সেন।

ঢোকার মুখেই তৃণমূল প্রতিনিধিদলকে বাধা দেয় পুলিশ। আগে থেকে সময় নিয়ে আসা সাংসদদের আটকানো হচ্ছে কেন? প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্য বৈঠক চলার সাফাই দেন নিরাপত্তারক্ষারা। শেষ পর্যন্ত অভিষেক পৌঁছতেই তাঁদের ভিতরে ডেকে নেন মন্ত্রকের আধিকারিকরা। সচিবের কাছেই দাবি সনদ পেশ করে তৃণমূল। এরপরে ১০০দিনের কাজ-সহ বাংলার বিভিন্ন প্রকল্পের বকেয়ার দাবিতে জানান তৃণমূল সাংসদরা।

 

Previous articleস্মারকলিপি জমার অছিলায় লকেটের নেতৃত্বে চুঁচুড়ায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা বিজেপির
Next articleরামনবমীর অ.শান্তির আঁচ বিধানসভায়, বিহারের বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ!