হাই কোর্টের পরামর্শে হনুমান জয়ন্তীতে কলকাতা-সহ ৩ জায়গায় মোতায়েন হবে আধাসেনা: মুখ্যসচিব

সুষ্ঠুভাবে হনুমান জয়ন্তী করতে প্রয়োজনে আধাসেনার সাহায্য নিক রাজ্যে। কলকাতা হাই কোর্টের এই নির্দেশের পরেই নবান্নে (Nabanna) উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Harikrishna Dwibedi) জানালেন, বৃহস্পতিবার রাজ্যের ৩ জায়গায় আধা সেনা মোতায়েন থাকবে। বুধবার রাতেই আসবে *৩ কোম্পানি আধাসেনা*। *কলকাতা, ব্যারাকপুর, হুগলিতে* মোতায়েন করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

পালন করে রাজ্যে যাতে কোনও অশান্তির ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করবে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের পর বুধবার বিকেলে নবান্নে জরুরি বৈঠক ডাকেন মুখ্যসচিব। সব জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাররা ওই বৈঠকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন। নবান্ন সূত্রে খবর, হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা করতে চেয়ে ইতিমধ্যে ২ হাজার আবেদন জমা পড়েছে প্রশাসনের কাছে। তার মধ্যে কোথায় কোথায় উত্তেজনা ছড়ানো আশঙ্কা রয়েছে, তা ম্যাপিং করে জানাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার রাজ্যে তিন কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী (Paramilitary Force) মোতায়েন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যে সব এলাকায় একাধিক শোভাযাত্রা বেরোবে তাদের জন্য কমন রুট করে দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। তাতে পুলিশি নজরদারিতে সুবিধা হবে। তা ছাড়া শোভাযাত্রা কতটা পথ অতিক্রম করতে পারবে, কোন রুট ধরে যাবে তাও পুলিশই ঠিক করে দেবে। মোটামুটি ভাবে সব শোভাযাত্রার ভিডিওগ্রাফি করা হবে।

হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা যারা করবে তাদের সবার বিস্তারিত পুলিশকে জানাতে হবে। সেই সঙ্গে মিছিলের স্বেচ্ছাসেবকদের পরিচয় জানাতে হবে।
নবান্ন স্থির করে যে সব এলাকায় অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে সেখানে ভিডিওগ্রাফি তো হবেই সঙ্গে অতিরিক্ত ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরাও বসানো হবে। কলকাতা হাইকোর্ট, এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি যেন না থাকেন। কোনও উস্কানিমূলক কথাও যেন বলা না হয়। নবান্ন থেকে সে বিষয়েও সজাগ দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- মুঘল বিতর্কের মাঝেই সিলেবাসে বাদ ‘গান্ধী হ.ত্যা’, ‘RSS নিষিদ্ধ ঘোষণা’, সরব কংগ্রেস

স্পর্শকাতর এলাকায় প্রয়োজনে ১৪৪ ধারা জারি করা হতে পারে। জেলা প্রশাসনগুলিকে বলে দেওয়া হয়েছে, মিছিলে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা একশো থেকে দেড়শো জনের মধ্যে রাখতে হবে। মিছিলের অনুমতি দিতে হলে সংশ্লিষ্ট পথের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতে হবে। কোনও সমস্যা তৈরির সম্ভাবনা থাকলে পথ বদলের প্রস্তাব দিতে পারবেন জেলা প্রশাসনিক কর্তারা।

Previous articleমুঘল বিতর্কের মাঝেই সিলেবাসে বাদ ‘গান্ধী হ.ত্যা’, ‘RSS নিষিদ্ধ ঘোষণা’, সরব কংগ্রেস
Next articleএক ট্রেনে ১৬ নদী পার! টিকিট কেটে রেডি হয়ে যান