মুঘল বিতর্কের মাঝেই সিলেবাসে বাদ ‘গান্ধী হ.ত্যা’, ‘RSS নিষিদ্ধ ঘোষণা’, সরব কংগ্রেস

NCERT’র তত্তাবধানে স্কুলের পাঠ্যক্রম থেকে মুঘল ইতিহাস বাদ নিয়ে বিতর্কের মাঝেই এবার সিলেবাস থেকে বাদ পড়ল গান্ধী(Mahatma Gandhi) হত্যা ও আম্বেদকরের অবদান। এই ঘটনায় সরব হয়ে উঠল কংগ্রেস(Congress)। তাদের অভিযোগ বিজেপি নিজেদের কলঙ্কিত ইতিহাস মুছে ফেলতে চাইছে। স্রেফ প্রতিহিংসার মানসিকতা থেকে সিলেবাসে বাদ দেওয়া হচ্ছে গান্ধী হত্যা থেকে আম্বেদকরের অবদান। শুধু তাই নয় সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর দায়ে আরএসএস-কে নিষিদ্ধ করার বিষয়টিও বাদ পড়েছে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য বই থেকে।

বিজেপি সরকারের এহেন পদক্ষেপের তিব্র বিরোধিতা করে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, “প্রতিহিংসামূলক মানসিকতা থেকেই ইতিহাস মুছে দিচ্ছে আরএসএস। এতেই বোঝা যায় শাসকের আসল মানসিকতা। ওরা শুধু গান্ধীকে আক্রমণ করছে তাই নয়, ওরা দলিতদেরও ছাড়েনি। আম্বেদকরকেও ছাড়েনি।” এই ঘটনায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi) আক্রমণ শানিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বল(Kapil Sibbal)। তিনি বলেন, “মোদিজি এক্কেবারে ধারাবাহিক। ইতিহাসটা ওরা ২০১৪ সাল থেকেই শুরু করতে চায়।”

উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালে গান্ধী হত্যার পর দেশে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে। দীর্ঘ দিন ধরে দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের স্কুলপাঠ্য বইগুলিতে ছিল এই অধ্যায়। হঠাৎ করেই এইসব বিষয় সরিয়ে ফেলা হয়েছে এনসিইআরটি’র বই থেকে। এমনকি দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস বই থেকে নাথুরাম গডসে-র সম্পূর্ণ পরিচয়ও উড়ে গিয়েছে রাতারাতি। গডসে যে পুনের ব্রাহ্মণ ছিলেন, তাঁর কাজে ও কথায় মুসলিমবিদ্বেষের ছাপ পাওয়া যায়, এবং তিনি একটি গোঁড়া হিন্দুত্ববাদী সংবাদপত্র সম্পাদনা করতেন যেখানে গান্ধীর প্রতি কড়া আক্রমণ শানানো হয়েছিল, এই সব তথ্যই বাদ পড়েছে বই থেকে, অভিযোগ এমনটাই।

Previous articleনলজাতকদের ঘৃণা! এবার শিশু সুরক্ষা আইনে মামলা হোক শতরূপের বিরুদ্ধে
Next articleহাই কোর্টের পরামর্শে হনুমান জয়ন্তীতে কলকাতা-সহ ৩ জায়গায় মোতায়েন হবে আধাসেনা: মুখ্যসচিব