Sunday, August 24, 2025

রাজভবনে রিপোর্ট দিতে হবে উপাচার্যদের, নির্দেশিকা জারি রাজ্যপালের

Date:

রাজভবনকে(Raj bhavan) রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে (University)। এমনটাই নির্দেশিকা জারি করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস(CV Anand Bose)। তাঁর এই নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে রাজভবনের তরফে সমস্ত উপাচার্যদের কাছে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, কোনও রকম আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে উপাচার্যরা রাজভবনের অনুমতি নেবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কাজকর্মের রিপোর্ট জমা দেবেন রাজভবনে। প্রতি সপ্তাহে জমা দিতে হবে এই রিপোর্ট।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজভবনকে সে বিষয়ে জানাতে হবে। এমনকি সরাসরি রাজভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন উপাচার্যরা। নিয়ম অনুযায়ী এতদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা যোগাযোগ করতেন শিক্ষা দফতরের সঙ্গে তাঁদের নিয়োগ থেকে বদলি সবটাই রাজ্যের সুপারিশ মেনে করেন রাজ্যপাল। তবে রাজ্যপালের নির্দেশ মানার অর্থ, উপাচার্যদের কাজকর্মের নিয়ন্ত্রণ সরাসরি চলে যাবে রাজভবনের হাতে। তবে এই বিষয়টিকে শিক্ষা দফতর আদৌ সহজভাবে গ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, রাজভবনে প্রবেশের পর থেকে এ পর্যন্ত রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলার বার্তাই দিয়ে আসছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। এমনকী, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) পাশে বসিয়ে সমন্বয় সাধন করে চলার বার্তাও দিয়েছিলেন। রাজ্যপালের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, “শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনও দ্বন্দ্ব নয়। বাংলা নিজের শিক্ষা, সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। আমাদের সকলকে সেই জায়গা ধরে রাখতে হবে।” রাজভবনের নয়া বিজ্ঞপ্তিতে কিন্তু সেই সমন্বয় ভুলে দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version