রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে হুগলির রিষড়ায় যে অশান্তি ও হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট জমা দিল পুলিশ। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ, রামনবমীর মিছিল আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে এই মিছিল করা হয়। শোভাযাত্রার নামে প্রকাশ্য রাস্তায় কার্যত উৎশৃঙ্খলা দেখা যায়। মিছিল থেকে স্থানীয় মানুষদের উদ্দেশে কটুক্তি উড়ে আসে। উস্কানিমূলক আচরণ ও প্ররোচনা দেওয়া হয়।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত ২ এপ্রিল রামনবমীর মিছিল থেকে কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি ও অশালীন ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছিল। মিছিলে তরোয়াল, আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের মাধ্যমেও উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়। তারস্বরে বাজানো হয়েছিল বেআইনি ডিজে বক্স। স্থানীয়দের লক্ষ্য করে মিছিল ইট-পাথর ছোড়া হয়। পাল্টা স্থানীয়রাও পরে ইট-পাথর ছুড়তে শুরু করে। যার জেরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হপয় ওঠে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ঘটনা শুরুর পরদিন অর্থাৎ ৩ এপ্রিল এলাকা শান্ত করতে ৪ নম্বর রেলগেট এলাকায় যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। কিন্তু সেখান থেকে স্থানীয় মানুষের একটি বড় পুলিশের উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য করতে থাকে। পুলিসের উপর ইট-পাথর ছুড়তে থাকে। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বুঝতে পেরে, আরও বাহিনী ডাকা হয়। উন্মত্ত জনতাকে শান্ত করার সবরকম চেষ্টা করে পুলিশ।

পুলিশের তরফে যথেষ্ট ধৈর্য্যের পরিচয় দেওয়া হয়। কিন্তু উন্মত্ত জনতা বাঁশ, লাঠি নিয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ করে। একটি সরকারি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ বাধ্য হয়ে কাঁদানে গ্যাস, স্ট্যাম্প গ্রেনেড, রবার বুলেট ব্যবহার করেছে। বেশ কিছু পুলিশকর্মীও এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ।
