Thursday, November 6, 2025

এবার হিমাচল প্রদেশে আইনতভাবে গাঁজার চাষ শুরু হতে চলেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন। এদিন তিনি বিষয়টির আইনি দিকগুলি খতিয়ে দেখার জন্য পাঁচ সদস্যের পরিষদীয় কমিটি গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। শাসকদল কংগ্রেস, প্রধান বিরোধী দল বিজেপি-সহ সব দলের বিধায়কদের ওই কমিটিতে উপস্তিত থাকার কথা বলেছেন। চিকিৎসার কাজে লাগানোর পাশাপাশি কিভাবে গাঁজা থেকে আরও বেশি কর আদায় করা যায়, সেই বিষয়েও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে এই কমিটি।সব কিছু ঠিক থাকলে গাঁজার চাষে বৈধতা দেওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা।

হিমাচলে দীর্ঘ দিন ধরেই গাঁজা চাষকে আইনি বৈধতা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন। সরব হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিও। কুলুর প্রাক্তন বিধায়ক এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি মহেশ্বর সিংহ গাঁজা চাষে আইনি বৈধতা চেয়ে ২০১৮ সালে চিঠি দিয়েছিলেন তৎকালীন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরকে। কুলুর বর্তমান কংগ্রেস বিধায়ক সুন্দর ঠাকুরও শর্তসাপেক্ষে গাঁজা চাষের অনুমতি দেওয়ার দাবি তুলেছিলেন বিধানসভায়।

আসলে হিমাচলের মালানা এলাকার গাঁজা সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত। শুধু গাঁজা নয়, গাঁজা গাছ থেকেত তৈরি মালানার চরসও সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে ড্রাগ মাফিয়াদের দৌলতে। রাজনৈতিক নেতাদের বড় অংশের মতে, আইনি বৈধতা না থাকায় বাড়ছে ড্রাগ মাফিয়াদের দাপট। আইনসম্মত ভাবে চাষ করা হলে ড্রাগ মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। পাশাপাশি, হিমাচলের পিছিয়ে পড়া এলাকার গ্রামীণ অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে বলে দাবি তাঁদের।

২০১৫ সালের নভেম্বরে উত্তরাখণ্ডে গাঁজার চাষে শর্তসাপেক্ষ সম্মতি দিয়েছিল সে রাজ্যের সরকার। এলাকার ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখেই এই আইন করা হয়েছিল। ভারতীয় সংস্কৃতিতে ধর্মীয় কারণে পুজোর উপচার হিসাবে গাঁজার ব্যবহারের প্রচলন আছে। এ ছাড়া ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলিও ওষুধ বানানোর উপকরণ হিসাবে মারিজুয়ানা (ক্যানাবিস) ব্যবহার করে থাকে।

হিমাচলেও গাঁজা চাষে বৈধতা দেওয়া হলে, থাকতে পারে বেশ কিছু বিধিনিষেধ। বিশেষত পর্যটকেরা যাতে গাঁজায় টান দিতে না পারেন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে বলে সরকারি সূত্রের ইঙ্গিত।গত ৬০ বছর ধরে গাঁজা  রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিপজ্জনক মাদক তালিকায় রয়েছে। একমাত্র ওষুধ তৈরি ছাড়া গাঁজার ব্যবহার, বিক্রি নিষিদ্ধ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের আশা, গাঁজা আইনিভাবে স্বীকৃতি পেলে চিকিৎসাক্ষেত্রে অনেক কাজে দেবে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ  এবং উত্তর প্রদেশের কিছু জেলায় গাঁজা চাষকে আইনি মর্যাদা দিয়েছে। এছাড়াও শিল্প ব্যবহারের জন্য উত্তরাখণ্ডে গাঁজার চাষও হচ্ছে।

 

 

Related articles

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...

বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) মিঠু সিংয়ের জীবনে যেন সেটাই সত্যি হতে বসেছিল। অবশেষে ৫৫...
Exit mobile version