পার্কিং ফি-র চ্যাপ্টার ক্লোজড, দ্বন্দ্বের কোনও প্রশ্নই নেই: সাফ জানালেন কুণাল

নেত্রীর অনুরোধ মেনে যে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, সেজন্য আমরা পুরসভাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মানুষের উপর বাড়তি বোঝা না চাপিয়ে নতুন পার্কিং ফি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ধন্যবাদ মেয়রকেও।

কলকাতা পুরসভা এলাকায় পার্কিং ফি বাড়ানো নিয়ে যেভাবে সমালোচনা করছেন বিরোধীরা, তাকে ধর্তব্যের মধ্যে আনতে চাননা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শনিবার এই বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পার্কিং ফি-র চ্যাপ্টার ক্লোজড। অনেক বড় কাজের মধ্যে এক আধটা ছোটখাটো কামিউনিকেশন গ্যাপ পড়ে যায়। সেক্ষেত্রে নেত্রীর অভিমুখ অনুযায়ী মানুষের উপর চাপ যাতে না পরে সেই বিষয়টি দেখা  হয় ‌। নেত্রীর অনুরোধ মেনে যে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, সেজন্য আমরা পুরসভাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মানুষের উপর বাড়তি বোঝা না চাপিয়ে নতুন পার্কিং ফি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ধন্যবাদ মেয়রকেও।

কুণালের স্পষ্ট কথা,ফিরহাদ হাকিম দীর্ঘদিন তৃণমূলের একজন সাংগঠনিক দক্ষ নেতা এবং এই পুরসভার কাজে তিনি দীর্ঘদিন ধরে অভিজ্ঞ।যেটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তাতে কোনও দ্বন্দ্বের প্রশ্নই নেই। ফিরহাদ হাকিম দীর্ঘদিনের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাষ নেত্রীর অত্যন্ত আস্থাভাজন এবং পুরসভার কাজে যারা দক্ষ তার মধ্যে অন্যতম। দীর্ঘদিন তিনি কাউন্সিলর হিসেবে, মেয়র হিসেবে পুরসভাযর সঙ্গে যুক্ত। সুতরাং এখানে বিরোধের কোনও প্রশ্নই নেই। একটা কমিউনিকেশন গ্যাপ তৈরি হয়েছিল সেটা মিটে গেছে। বিষয়টি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানতেন না, মানুষের কাছে সেটা জানানোর প্রয়োজন ছিল। তিনি যখনই জেনেছেন তিনি কখনওই চাননি যে মানুষের ওপর কোনও বোঝা চাপুক। তাই তিনি অনুরোধ করেন যাতে তা প্রত্যাহার করা হয়। এজন্য দলের সঙ্গে পুরসভার বা মহানগরিকের কোনও বিরোধের সম্পর্ক নেই।

কুণালের অভিযোগ, ডিএ-র দাবিতে দিল্লির যন্তর মন্তরে যারা ধর্না করতে যাচ্ছেন তারা তো সব বিজেপি কংগ্রেস সিপিএমের লোক।ডিএ দিয়ে দাও বলে যে ধর্না চলছে, কেন্দ্রের কাছে গিয়ে তারা দাবি জানাচ্ছেন, একবারও তো বলছেন না যে রাজ্যের বকেয়া দিয়ে দিলে ডিএটা তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবেন।এর পেছনে যে বিজেপির মদত আছে তা স্পষ্ট।কুণালের স্পষ্ট বক্তব্য, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি এখানে কেন? মুঙ্গেরে যেখান থেকে ছেলেটিকে ধরে আনা হয়েছে সেখানে যান। তাহলে দেখতে পাবেন বিজেপির আরও কত ক্যাডার, অস্ত্র সেখানে লুকিয়ে আছে।

নারীদের নিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্য প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, বিজেপি নেতারা যৌনতাবাদী এবং নারীবিদ্বেষী মন্তব্যই করে থাকেন। বিজেপির জাতীয় সম্পাদক বলেছেন, মহিলাদের নোংরা পোকাশে শূর্পণখা অর্থাৎ রাক্ষসীর মতো লাগে। এই অমৃত কালে ‘নারী তু নারায়ণী’ প্রতিজ্ঞা স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়।

 

Previous articleকবে আসছেন লিটন দাস? জানিয়ে দিল কেকেআর
Next articleআইপিএলে ১০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক তছরুপ,গ্রেফতার জুয়াড়ি অনিল জয়সিঙ্ঘানি