চুড়িদারের প্যাকেট খুলতেই বেরিয়ে আসছে একের পর এক OMR শিট! ফুটপাতের একটি দোকানের এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে যখন OMR নিয়ে বিস্তর আলোচনা, ঠিক তখনই ২০১৬, ২০১৮ সালের OMR শিট মিলেছে ফুটপাতের একটি দোকানে! তবে সেটা SSC নয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের OMR শিট। কাকতলীয় হলেও এখানেও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ‘যোগ’! কীভাবে? OMR শিটগুলি মিলেছে পার্থর নির্বাচনী ক্ষেত্র বেহালা (Behala) পশ্চিমের একটি ফুটপাতের দোকান থেকে। ইতিমধ্যেই সেই OMR শিট বাজেয়াপ্ত করেছে বেহালা থানার পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে।

বেহালার ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের পাশে ফুটপাতে একটি কাপড় জামার দোকানে চুড়িদারের ভাঁজে পাওয়া গিয়েছে প্রচুর OMR শিট। সেখানে পরীক্ষকের সই রয়েছে। যাঁরা পরীক্ষার্থী তাঁদের নাম রয়েছে। উত্তর দেওয়া রয়েছে, সেই OMR শিট। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনও OMR শিট পরীক্ষা হওয়ার তিন বছর পর্যন্ত সংরক্ষিত রাখা হয়। সেখানে এই OMR শিট কীভাবে রয়েছে সেই বিষয়েই প্রশ্ন উঠছে।

বিষয়টি সামনে আসতে মুখ খুলেছেন বেহালার ওই দোকানদার। তাঁর বক্তব্য, “নিউমার্কেটের পাইকারি বাজার থেকে কিনছি, সেখানেই কুর্তি-চুড়িদারের মধ্যে এগুলি ভরে আসছে। এগুলি জামা কাপড়ের মাঝে বোর্ড দেওয়ার জন্য ব্যবহার হচ্ছে।” তবে রাস্তাঘাটে, হাটেবাজারে OMR শিট উদ্ধার হওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। গত মার্চ মাসে বীরভূমে একটি কেকের দোকানেও মিলেছিল OMR শিট। শান্তিনিকেতনে ওই দোকানে কেকের মোড়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল OMR। এবার একই ঘটনার সাক্ষী থাকলো বেহালার জামা-কাপড়ের দোকান।