শপথ বীরেন্দ্রর: রাজ্যপালের ভূমিকায় ‘গোঁসা’ শুভেন্দুর, পাল্টা কটাক্ষ তৃণমূলের

সোমবার রাজ্যের নতুন মুখ্য তথ্য কমিশনার হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করলেন রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন মহা নির্দেশক। এদিন রাজভবনে এক অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার (Chief Information Commissioner) পদে আগামী ৩ বছরের জন্য নিযুক্ত হলেন প্রাক্তন ডিজি বীরেন্দ্র (C Virendra)। সোমবার রাজ্যের নতুন মুখ্য তথ্য কমিশনার হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করলেন রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন মহা নির্দেশক। এদিন রাজভবনে এক অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস(Governor CV Ananda Bose) তাঁকে শপথ বাক্য (Oath Taken) পাঠ করান।

উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের (Assembly Budget Session) শুরুতে রাজ্যের নতুন মুখ্য তথ্য কমিশনার হিসেবে বীরেন্দ্রর নাম চূড়ান্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রথা অনুযায়ী ওই অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতার উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি নিজের মর্জিমাফিক ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। মুখ্যমন্ত্রী এবং পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বীরেন্দ্রর নাম চূড়ান্ত হয়। তারপরে তা রাজ্যপালের কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। আর রাজ্যপাল সেই ফাইলটিকে অনুমোদন দেন। গত ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনারের পদটি খালি পড়েছিল। এবার সেই জায়গায় প্রাক্তন ডিজি বীরেন্দ্রকে নিয়োগ করা হল।

তবে এদিন রাজ্যের তথ্য কমিশনার নিয়োগে ‘পদ্ধতিগত ভুল’ রয়েছে বলে ফের সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবার দুপুরে দু’টি টুইট করেন তিনি। টুইটে তিনি প্রশ্ন তোলেন, তথ্য কমিশনার পদে রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন ডিজি বীরেন্দ্রকে কীভাবে বসানো হল? অপর টুইটে নবান্নের তরফে প্রকাশিত বীরেন্দ্রকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি তুলে ধরেন বিরোধী দলনেতা। পাশাপাশি, তথ্য কমিশনার নিয়োগে রাজ্য সরকারের ডাকা বৈঠকে কেন তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না, সেই একাধিক কারণ দেখিয়ে এদিন চিঠিও প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। এদিন রাজ্যপালকে সমস্ত টুইট ট্যাগ করেছেন শুভেন্দু। টুইটারে বিরোধী দলনেতা লেখেন, নিয়োগ কমিটির সদস্য হওয়ার সুবাদে রাজ্য় মুখ্য তথ্য কমিশনার পদে সি বীরেন্দ্রর নিয়োগ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কারণ শূন্যপদ পূরণের আবেদনে কোনও নিয়ম মানা হয়নি। তবুও মাননীয় রাজ্যপাল নিয়োগ প্রক্রিয়া কীভাবে এগিয়ে নিয়ে গেলেন সেই প্রশ্নও টুইটে তুলে ধরেন শুভেন্দু অধিকারী।

অন্যদিকে বিরোধী দলনেতার সমস্ত অভিযোগকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে বলেন, শুভেন্দুর অভ্যাস রাজভবনকে নিয়ে মিথ্যা রাজনীতি করা। তবে এদিন রাজ্যপালের পাশেই দাঁড়িয়েছেন তিনি। কুণাল সাফ জানিয়েছেন, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, আগের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মতো নয়। শুভেন্দু যে কোনও ইস্যুতে প্রলাপ বকছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাত থেকে বাঁচতে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছে। তবে গরম পরলেই শুভেন্দু এমন পাগলামি করে বলেও শুভেন্দুকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কুণাল।

 

 

Previous articleচাকরি দেওয়ার নামে ৫কোটি টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফ*তার কাঁথির স্কুল শিক্ষক!
Next articleরাজ্যকে অশা.ন্ত করতেই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম: তোপ মুখ্যমন্ত্রীর, রামনবমীর মিছিল নিয়ে নিশানায় BJP