‘রাজ্যের প্রতিনিধি ছাড়া কীভাবে রিপোর্ট!’ মিড ডে মিল নিয়ে কেন্দ্রের অভিযোগের পাল্টা ব্রাত্য

স্কুলের মিড ডে মিলে(mid day meal) বাংলায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। এই ঘটনাকে পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে তোপ দাগলো রাজ্য সরকার(state government)। রাজ্যের তরফে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় এই ধরনের রিপোর্ট তৈরিতে কেন্দ্র এবং রাজ্য, দুই পক্ষের প্রতিনিধিই যুক্ত থাকেন। কিন্তু বাংলার মিড ডে মিল নিয়ে একপেশে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যের প্রতিনিধিকে যুক্তই করা হয়নি রিপোর্ট তৈরিতে।

এ প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu )বলেন, “মিড ডে মিল নিয়ে দ্বিচারিতা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের যৌথ পর্যালোচনা প্রকল্পে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি, কুকড মিড ডে মিল-এর অধিকর্তার সই ছাড়াই রিপোর্টটি জমা পড়েছে। রিপোর্টটি রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিকে দেখানো পর্যন্ত হয়নি। রাজ্যের প্রতিনিধিকে বাদ রাখলে পর্যালোচনা কমিটির যৌক্তিকতা থাকে কি করে?” পাশাপাশি তিনি বলেন, “রাজ্যের বক্তব্য রিপোর্টে জায়গা পায়নি। এর প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগ কমিটির চেয়ারপার্সনকে চিঠি দিয়েছে। আজও যার জবাব আসেনি। তাই এই ‘লুকোচুরি’ খেলার মধ্যে ‘অন্য অভিসন্ধি’ রয়েছে।”

এছাড়াও ব্রাত্য বসু বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে, যে বিষয়গুলিকে অবৈধ বলা হচ্ছে, তাতে রাজ্যের বক্তব্য কতটা প্রতিফলিত হয়েছে, তা দেখার প্রয়োজন আছে। ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষের যে অডিট সম্পূর্ণ করেছে CAG, তাতে এমন কিছুর উল্লেখ নেই। তবে রাজ্যকে যুক্ত করা হোক বা না হোক, রাজ্যের প্রতিনিধির সই থাকুক বা না থাকুক, এ নিয়ে বাংলার তরফে জবাব পাঠানো হবে।”

উল্লেখ্য, বুধবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের নিযুক্ত রিভিও প্যানেলের ওই রিপোর্টের বিষয়টি সামনে আসে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে মাত্র ছ’মাসের মধ্যে মিড ডে মিল নিয়ে অন্তত ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বলা হয়েছে, গত বছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এই বিপুল টাকার দুর্নীতি হয়েছে। হিসেব চাইলে ১৬ কোটি অতিরিক্ত মিড ডে মিল দেখানো হয়। শুধু তাই নয়, নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে ৭০ শতাংশ কম মিড ডে মিল খাবার সরবরাহ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে কেন্দ্রের একপেশে এই রিপোর্টকে পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে তোপ দাগলো রাজ্য সরকার।

Previous articleদিল্লির স্কুলে ফের বো.মাতঙ্ক! হু.মকি ইমেল পেতেই খালি করা হল বিল্ডিং  
Next article‘আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান পুরস্কার’ গণিতের নোবেল ভারতীয়র দখলে, আছে বাংলা যোগও