ফের যোগীরাজ্যে এন.কাউন্টার! পুলিশের গু.লিতে খ.তম কু.খ্যাত  

তবে শুধু আতিকের ছেলে আসাদই নয়, এন.কাউন্টারে খতম হয়েছে আসাদের সঙ্গী গোলাম। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই অভিযুক্তের থেকেই বিদেশে তৈরি অ.স্ত্রশ.স্ত্র পাওয়া গিয়েছে। ঝাঁসিতে ‘এন.কাউন্টার’-এর সময় নিহত হয়েছেন আসাদ এবং তাঁর সঙ্গী গুলাম।

যোগী রাজ্যের কুখ্যাত গ্যাংস্টার (Gangster) আতিক আহমেদের (Atiq Ahmed) ছেলেকে এবার এনকাউন্টারে খতম করল উত্তর প্রদেশ পুলিশের (Uttar Pradesh Police) বিশেষ টাস্ক ফোর্স (STF)। আতিকের ছেলে আসাদ আহমেদ (Asad Ahmed) আইনজীবী উমেশ পাল (Lawyer Umesh Paul) হত্যার অন্যতম অভিযুক্ত ছিল। খুনের পর থেকেই নিখোঁজ ছিল আসাদ। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ। এমনকি তার জন্য ৫ লক্ষ টাকা পুলিশের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার এনকাউন্টারে (Encounter) মারা যায় আসাদ, এমনটাই ঘোষণা করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্স। তবে আসাদের মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে যোগী সরকারের এনকাউন্টারের একটি রিপোর্ট সামনে আসে। যেখানে পরিষ্কার দেখা যায়, উত্তর প্রদেশ পুলিশের ‘দাদাগিরির’ ছবি। আসাদের মৃত্যুর পরও সেই ছবি প্রকট হচ্ছে।

তবে শুধু আতিকের ছেলে আসাদই নয়, এনকাউন্টারে খতম হয়েছে আসাদের সঙ্গী গোলাম। পুলিশ সূত্রে খবর, দুই অভিযুক্তের থেকেই বিদেশে তৈরি অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। ঝাঁসিতে ‘এনকাউন্টার’-এর সময় নিহত হয়েছেন আসাদ এবং তাঁর সঙ্গী গুলাম। প্রয়াগরাজে উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ছিলেন আসাদ এবং গুলাম। পুলিশের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’ অপরাধীর তালিকায় ছিলেন এই দু’জন। পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্যের এসটিএফের সঙ্গে গুলির লড়াই হয় আসাদ এবং গুলামের। সেই সংঘর্ষেই মৃত্যু হয়েছে দুই অভিযুক্তের। তাঁদের কাছ থেকে নতুন মোবাইল ফোন এবং সিম কার্ডও উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এদিকে ঘটনায় যোগী আদিত্যনাথ এবং বিজেপিকে নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। তাঁর অভিযোগ, সবটাই সাজানো। আসাদের এনকাউন্টার নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝান হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে গত কয়েক বছর ধরে এমন কাণ্ডই চলছে। এরপরই অখিলেশের মন্তব্য, বিজেপি আদালতে বিশ্বাস করে না।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল খুনে প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন আতিক আহমেদ। উত্তর প্রদেশের এই কুখ্যাত গ্যাংস্টারের বিরুদ্ধে রাজু পালকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় জেলেও ছিলেন আতিক। তবে মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন উমেশ পাল। চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজের বাড়ির সামনে উমেশ পালের উপর হামলা চালায় অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা। সেই হামলায় উমেশ পাল ও তাঁর দুই দেহরক্ষীর মৃত্যু হয়। সেই খুনে অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন আতিক আহমেদের ছেলে আসাদ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল সে। তার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে, উমেশ পাল হত্যা মামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে নাম রয়েছে আতিক আহমেদেরও। সম্প্রতি তাঁকে এবং তাঁর ভাইকে প্রয়াগরাজের আদালতে হাজির করানো হয়। গুজরাটের জেল থেকে আদালতে আসার আগে এনকাউন্টারে মৃত্যুর আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি।

 

 

Previous articleপুজো দিয়ে আর ফেরা হল না! পথেই মৃ*ত্যু হল দুই বাইক আরোহীর
Next articleকুন্তলের চিঠির জেরে প্রয়োজনে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ! বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ ঘিরে প্রশ্নের ঝড়