চৈত্র সংক্রান্তির সকালে বেলুড় মঠে রাজ্যপাল! বর্ষশেষের দিনে কোন কর্মসূচিতে অংশ নিলেন তিনি?

চৈত্র সংক্রান্তিতে সাতসকালেই বেলুড় মঠে হাজির হলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কোচি আশ্রমের মহারাজ স্বামী ভুবনাত্মানন্দ ও আশ্রমের ট্রাস্টি সদস্যদের কয়েকজন। বেলুড় মঠের মায়ের ঘাট থেকে নেওয়া গঙ্গাজল রাজ্যপাল তুলে দেন কোচির রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজদের হাতে।

আরও পড়ুন:বাংলা শিখছেন, নববর্ষে রাজভবনে বাংলায় ভাষণ দেবেন রাজ্যপাল


চলতি বছরেই কোচি রামকৃষ্ণ মিশনের ৭৫ বছরের পূর্তি উপলক্ষে রামকৃ্ষ্ণ মিশনের মহারাজদের ইচ্ছে ছিল, বেলুড়ের গঙ্গাজলে অনুষ্ঠানের সূচনা করার। সেই কারণেই গতকাল কোচি থেকে মহারাজরা বেলুড়ে যান। বৃহস্পতিবার বিকেলেই তাঁরা যান রাজভবনে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে বেলুড় মঠে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটায় বেলুড় মঠে হাজির হন রাজ্যপাল। সেখানে গঙ্গাজল প্রথমে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই কলস তিনি কোচির মহারাজদের হাতে তুলে দেন। কোচির মহারাজরা এই গঙ্গাজল দিয়েই তাঁদের অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন।পুণ্য কলসটি কোচি আশ্রমের রামকৃষ্ণ মন্দিরের গর্ভগৃহে রক্ষিত হবে। দিনভর একাধিক কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও রাজ্যপাল বেলুড় মঠে যাওয়ায় তাঁকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন মহারাজরা। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ বলেন, “সারাদিন ঠাসা কর্মসূচি রাজ্যপালের। তার মধ্যে থেকেও আধঘণ্টা বের করে উনি এসেছেন।”

অন্যদিকে এবছরই রামকৃষ্ণ মিশনের আন্তর্জাতিক আন্দোলনের ১২৫ বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হবে।সেখানেও রাজ্যপালের থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

 

Previous articleবীরভূম বিজেপির ঝাঁ চকচকে পার্টি অফিস নাকি অট্টালিকা! আজ শাহের হাতে উদ্বোধন
Next articleভোট ঘোষণার আগেই শুভেন্দুর নির্দেশে একতরফা প্রার্থী ঘোষণা! নন্দীগ্রামে বিজেপির দ্বন্দ্ব চরমে