স্বস্তি নেই পয়লা বৈশাখেও! অস্বস্তিকর জ্বালা ধরাবে গরম

দারুণ গ্রীষ্মের দহন জ্বালাকে সঙ্গী করেই এবার নতুন বছরকে স্বাগত জানাচ্ছেন আম বাঙালি। চৈত্র শেষের তীব্র গরম বৈশাখ শুরুতেও পিছু ছাড়বেনা বলে জানিয়ে দিয়েছে হাওয়া অফিস। তাদের পূবার্ভাস  আগামী পাঁচ দিন বঙ্গ ঝলসে যাবে তাপপ্রবাহে। এই পাঁচ দিন কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কলকাতা সহ জেলায় জেলায় পৌঁছে যাবে ৪২ ডিগ্রির ঘরে। রাজ্যের সব জেলাকে তাই সতর্ক করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ডিউটি অফিসার সুপ্রিয় ভট্টাচার্য এই খবর জানান। তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪১.০ ডিগ্রির ঘরে।

যদিও আবহাওয়া দফতরের রেকর্ড অনুযায়ী ২০১৬ সালে এই দিনে কলকাতার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৪১. ৬ ডিগ্রির ঘরে। তিনি আরোও জানান, এখন এই মুহূর্তে আমাদের দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহর ওয়ার্নিং দেওয়া হয়েছে ।এটাই আগামী পাঁচ দিন ধরে চলবে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে এই ওয়ারনিং নেই । কিন্তু ড্রাই আবহাওয়া থাকবে ।আজকে কলকাতার ক্ষেত্রে ৪১ থেকে ৪২° কাছাকাছি থাকবে তাপমাত্রা । গোটা বঙ্গে কোথাও কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

আরও পড়ুন- রাজ্যের ন্যায্য প্রাপ্য ফেরত দিন, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব: শাহকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

২০১৬ সালে কলকাতার ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ছিল ৪১.৬ ডিগ্রি আলিপুরে। আর আজ দুপুর আড়াইটার সময় রেকর্ড করা হয়েছে ৪১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে  সব জেলাতেই তাপপ্রবাহ ওয়ার্নিং দেওয়া হয়েছে আগামী পাঁচ দিন।

শুক্রবার রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল আসানসোলে ৪২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দ্বিতীয় স্থানে ছিল বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও মুর্শিদাবাদ ৪২.৭, তৃতীয় স্থানে ছিল পুরুলিয়া ৪২.৩, চতুর্থ স্থানে ছিল বর্ধমান ও শ্রীনিকেতন ৪২.২ ডিগ্রি। তার পরেই ছিল কলকাতা লাগোয়া বিধাননগর। সেখানে তাপমাত্রা ছিল ৪২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দমদমের তাপমাত্রা ছিল ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এদিন দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে ৩ – ৫ ডিগ্রি বেশি।

 

 

Previous articleরাজ্যের ন্যায্য প্রাপ্য ফেরত দিন, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব: শাহকে চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
Next articleদলকে চাঙ্গা করতে অনুশীলনে হাজির পন্থ